Advertisment

সোশ্যাল মিডিয়ায় বরখা দত্তকে ‘হেনস্থা’, ধৃত ৪

সোশ্যাল মিডিয়ায় বরখা দত্তকে কু-মন্তব্য ও অশালীন ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ফোন ও হোয়াটস অ্যাপ কল করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বরখা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
barkha dutt, বরখা দত্ত

বরখা দত্ত। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সাংবাদিক বরখা দত্তকে হেনস্থা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরখা দত্তকে কু-মন্তব্য ও অশালীন ছবি পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ফোন ও হোয়াটস অ্যাপ কল করে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বরখা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে এফআইআর দায়ের করেন বরখা। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ৩ জনই দিল্লির বাসিন্দা, বাকি আরেক জন গুজরাতের সুরাতের বাসিন্দা।

Advertisment

ঠিক কী অভিযোগ? এফআইআরে বরখা জানিয়েছেন, কিছু ভুয়ো খবরে তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর ফোন নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ বা কারা শেয়ার করেছেন। বরখাকে অশালীন ছবি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আজেবাজে মেসেজ করা হয়েছে। বরখা আরও জানিয়েছেন, ‘‘গোলি মার দেঙ্গে’’ বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন, কঠিন সময়ে ভাই অনিল আম্বানির পাশে মুকেশ-নীতা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ডি(পিছু নেওয়া), ৫০৬(হুমকি), ৫০৭(অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন), ১২০ বি(অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ও আইটি আইনের ৬৭ ও ৬৭ এ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়।

এ ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, ‘‘ধৃত রাজীব শর্মা(২৩), হেমরাজ কুমার(৩১), আদিত্য কুমার(৩৪) দিল্লির বাসিন্দা। অপর ধৃত শাব্বির গুরফান পিঞ্জারি(৪৫) সুরাতের বাসিন্দা।’’ পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পড়ুয়া রাজীব। হেমরাজ একটি হোটেলের শেফ। আদিত্য নামের আরেক অভিযুক্ত সেলস এগজিকিউটিভ হিসেবে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে। এই তিনজনের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। তিনজনকেই জামিন দিয়েছে আদালত। অপর ধৃত পিঞ্জারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পিঞ্জারি একটি কসাইখানায় কাজ করে বলে জানা গিয়েছে। পিঞ্জারি অশালীন ছবি পাঠায় বলে অভিযোগ। ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, বরখার ফোন নম্বর তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পায়। তবে কে বরখার নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Read the full story in English

national news
Advertisment