অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মীকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা হলেন, কনস্টেবল প্রদীপ সাহা ও লক্ষ্মী বর্মন। অভিযুক্ত কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১, ৪২৭ ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চিরাঙের পুলিশ সুপার প্রণব বরা জানিয়েছেন, ২০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়বে। অভিযুক্ত দু'জনকেই রিজার্ভ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। মোটর ভেহিক্যালস আইনে হেলমেট না-পরায় তাঁদের জরিমানাও করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জয়ন্ত দেবনাথ নামে ওই সাংবাদিক বলেন, 'অসমের বসুগাঁওয়ে ওই দুই পুলিশকর্মী হেলমেট ছাড়াই বাইকে চেপে যাচ্ছিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এতে সাধারণ মানুষের কাছে কী বার্তা যাচ্ছে? এটাই আমার একমাত্র অপরাধ। প্রকাশ্য দিবালোকে তাঁরা আমাকে গালাগালি দেন, মারধর করেন। আমি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ায় তাঁরা আরও রেগে যান'। গত ১৫ বছর ধরে অসমে সাংবাদিকতা করছেন জয়ন্ত দেবনাথ। ঘটনার সময় ওই সাংবাদিক নিজের স্কুটারে চেপে যাচ্ছিলেন।
হাসপাতালে বসে আহত সাংবাদিক অভিযোগ করেন, 'ওই দুই পুলিশকর্মী তাঁর কথা শুনে মোটরবাইক থেকে নেমে আসেন। একজন আমাকে চড় মারেন। আমার মাথায় ঘুষি মারেন। অন্যজন তাঁকে উত্সাহিত করতে থাকেন। এসব দেখে চারপাশে ভিড় জমে যায়। কাছেই একটা পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু, ওই গাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরা মারধরে বাধা দেননি। বদলে আমাকে ওই গাড়িতে চাপিয়ে থানায় নিয়ে যান।'
আরও পড়ুন- হুন্ডাই টুইট বিতর্ক: ‘দুঃখপ্রকাশ’ করে জয়শঙ্করকে ফোন দঃ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রীর
Read in English