গ্রেফতার হওয়া ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক প্রশান্ত কানোজিয়ার স্ত্রী এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। প্রশান্তকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গিয়েছেন তিনি, জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মানহানি সূচক বক্তব্যে ইন্ধন যোগানোর অভিযোগে প্রশান্ত কানোজিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কানোজিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক মহিলার করা আদিত্যনাথের সম্পর্কে কিছু মন্তব্য সমেত একটি ভিডিও তিনি টুইটারে আপলোড করেন। নয়ডার একটি সংবাদ চ্যানেল ওই ভিডিওটি সম্প্রচার করে। ওই চ্যানেলের শীর্ষকর্তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে চ্যানেলটির এক সম্পাদককেও। মুখ্যমন্ত্রীর বিকৃত ছবি এবং কানপুরের এক মহিলার ছবি ফেসবুকে আপলোড করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে রাজু সিং যাদব নামে এক ব্যক্তিকে।
প্রশান্ত কানোজিয়ার বিরুদ্ধে লখনউয়ের হজরতগঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ (জনতার পক্ষে প্ররোচনামূলক বিবৃতি), ৫০০ (মানহানি) ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ নং ধারা (ইলোক্ট্রনিক মাধ্যমে অশ্লীল বিষয় প্রকাশ)য় অভিযোগ আনা হয়েছেষ তদন্তকারী অফিসার বিজেন্দর মিশ্র জানিয়েছেন, সাব ইন্সপেক্টর বিকাশ কুমারের অভিযোগ এ ব্য়াপারে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রশান্তের স্ত্রী জাগীষা অরোরা জানিয়েছেন, "আমরাও জানি না ভিডিওর ওই মহিলা কে। এটা একেবারেই বিদ্রূপাত্মক, কোনও অপরাধ নয়... সরকারকে যারা প্রশ্ন করেব তাদের সবাইকেই কি পুলিশ গ্রেফতার করবে! সোশাল মিডিয়ায় যে কোনও কিছু পোস্ট করার অধিকারের ব্যাপারে আমি আমার স্বামীর পাশেই রয়েছি।"
প্রশান্ত কানোজিয়ার গ্রেফতারির নিন্দায় সরব হয়েছে ভারতের এডিটর্স গিল্ড। রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গিল্ডের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনা বাকস্বাধীনতা হরণের চেষ্টা।
এদিকে ভিডিওয় যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর মা মেয়ের মানসিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। তাঁকে আগলে রাখছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আধিকারিকরা। মহিলা বলছেন তাঁর "নিরাপত্তার জন্য" পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, অন্যদিকে মহিলার মা বলছেন, মেয়ের "যখন তখন লখনউ পালিয়ে যাওয়া আটকাতেই" এই ব্যবস্থা।