লড়াই থামলো। প্রয়াত সাংবাদিক বিনোদ দুয়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। গত প্রায় এক বছর ধরে রোগভোগের পর শনিবার দিল্লির এক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই সাংবাদিক।
হিন্দি বৈদ্যুতিন সাংবাদিকতা ও খবর পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিনোদ দুয়া ছিলেন পথিকৃৎ। দূরদর্শন ও এনডিটিভি-র হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি। পরে যোগ দেন নিউজ পোর্টাল দ্য ওয়্যার-এ।
সাংবাদিক বিনোদ দুয়ার কন্যা মল্লিকা সোশাল মিডিয়া পোস্টে বাবার জীবনাবসনের খবর নিশ্চিত করেছেন। সোশাল মিডিয়ায় মল্লিকা লিখেছেন, 'শ্রদ্ধেয়, নির্ভীক ও অসাধারণ সাংবাদিক, আমার বাবা বিনোদ দুয়া চলে গেলেন। '
আমাদের শ্রদ্ধেয়, নির্ভীক ও অসাধারণ পিতা বিনোদ দুয়া চলে গেলেন। তিনি অনবদ্য জীবনযাপন করেছেন, দিল্লির উদ্বাস্তু কলোনি থেকে ৮২ বছরেরও কর্মজীবনে সাংবাদিকতার শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে পৌঁছেছিলেন। সর্বদা, সবসময় তিনি ক্ষমতার সামনেও সত্য বলেছেন। তিনি এখন আমাদের মা, তাঁর প্রিয় স্ত্রী চিন্নার সঙ্গে স্বর্গে রয়েছেন, যেখানে তাঁরা গান গাইবেন, রান্না করবেন, এক অপরের প্রিয়া স্থানে ভ্রমণ করবেন। আগামীকাল (৫.১২.২১) দুপুর ১২টায় লোধি শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।'
চলতি বছর শুরুর দিকে কোভিডে আক্রান্ত হন বিনোদ দুয়া। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যেই এ বছর জুনে করোনা সংক্রমণে জীবনাবসান হয় বিনোজের স্ত্রী রেডিওলজিস্টপদ্মবতী চিন্না দুয়ার।
গত প্রায় এক বছর ধরেই বিনোদ দুয়ার শারীরিক অবস্থার তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। হাসপাতালেই ছিলেন। পরে গত সোমবার অ্যাপলো হাসপাতালের আইসিইউ থেকে তাঁকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবারই কন্যা মল্লিকা জানিয়েছিলেন, বিনোদ দুয়ার শরীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। চিকিৎসকদের শতচেষ্টা সত্ত্বেও চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না তিনি।
মল্লিকা ছাড়াও বিনোদ ও চিন্না দুয়ার বড় কন্যা বকুল রয়েছেন। তিনি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন