Ayodha Ram Temple: বহু মানুষের সাধ এতদিন বাদে পূর্ণ হচ্ছে। অযোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির। বুধবার এই মন্তব্য করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। এদিন তিনি নির্মীয়মাণ রাম মন্দির এবং হনুমানগড়ি মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। তাঁকে সঙ্গত দেন বিজেপি শাসিত ১১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা। বুধবার সকালে সরজু ঘাটে প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে এই প্রতিনিধি দলকে।
যদিও এই কর্মযজ্ঞকে খোঁচা দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। দলের নেতা অখিলেশ যাদবের মন্তব্য, ‘সিট রিপোর্ট বলছে লখিমপুর খেড়ি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র। আর ভোট এলেই বিজেপি ধর্মের চশমা পরে নেয়। সবকিছু সেই চশমা দিয়ে দেখা শুরু করে।‘প্রধানমন্ত্রীর উচিত অবিলম্বে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করা। এমন দাবিও করেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, প্রতীক্ষার অবসান করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হয়ে গেল কাশী বিশ্বনাথ করিডরের। সোমবার নবনির্মিত কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ”নতুন ইতিহাসের সূচনা হল। এবার সহজে বিশ্বনাথ মন্দিরে আসবেন প্রবীণরা। করিডর দিয়ে সোজা কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে ঢুকে পড়তে পারবেন ভক্তরা।” আজ থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে নবনির্মিত এই করিডর। বহু প্রতীক্ষিত বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধনে কাশীর ইতিহাস সামনে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, করোনাকালেও থেমে থাকেনি করিডর তৈরির কাজ। সেই করিডর তৈরির কাজে যুক্ত থাকা শ্রমিকদেরও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডর প্রকল্পের ফেজ ওয়ানের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৩৩৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। করিডর উদ্বোধনের পাশাপাশি মন্দির কমপ্লেক্স ও মন্দির সংলগ্ন ২৩টি নতুন ভবনেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৫ লক্ষ বর্গফুটের এই নবনির্মিত করিডির দিয়ে এবার বিশ্বনাথ মন্দিরে পৌঁছে যাওয়া আরও সহজ হবে। সোমবার থেকেই নতুন এই করিডর ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
দুই দিন বারানসী সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। করিডর উদ্বোধনের পাশাপাশি ঘুরে দেখেন কাশী শহর এবং স্টেশন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। মঙ্গলবার দেশের ১১টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণের জীবনযাত্রা আরও সহজ-সরল করলে মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্যোগী হতে আর্জি জানান নরেন্দ্র মোদি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন