বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার বঙ্গ সফর ঘিরে ফের অশান্ত হল রাজ্য-রাজনীতি। নবদ্বীপে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভা ও 'পরিবর্তন যাত্রা'র সূচনা ঘিরে তৈরি হল টালমাটাল পরিস্থিতি। এদিকে মালদা সফরে এসে সভা থেকেই মমতা ও তৃণমূল দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নাড্ডা।
ঠিক কী বলেছেন তিনি?
প্রায় ৩৩,০০০ গ্রামে আমরা পৌঁছে গিয়েছি। তা আগামিদিনে ৪০,০০০ হয়ে যাবে। আর তাতে যুক্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ কৃষক। বাংলায় কৃষকদের জন্য অবিচার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ২৫ লাখ কৃষক প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি আবেদন জানানোর পর ভোল পালটেছেন। এখন আর কোনও লাভ নেই। এখন আফশোস করে লাভ নেই। সব জায়গায় জয় শ্রী রাম শুনছি। মমতাজির এত রাগ করেও লাভ নেই। বাংলার কৃষকদের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছেন মমতাজি। নিজে জিদ করে, ইগোর কারণে, অভিমানের কারণে মোদীর কৃষক সম্মান নিধিকে বাংলায় নিয়ে আসলেন না।
সব জায়গায় 'পিসি-ভাইপোর ছবি', 'ত্রিপল চোর' কটাক্ষও করলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, "যেখানে যাই, সেখানেই পিসি, ভাইপোর ছবি। বাংলার মানুষ মমতাদিকে টাকা, নমস্তে বলার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। একইসঙ্গে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় বাজেটে যে বাংলার রেলের জন্য যে বরাদ্দ হয়েছে তা আসলে কৃষকদের উন্নয়নের জন্য, এদিন এমনটাই জানালেন নাড্ডা। ডানকুনি ও খড়্গপুরের ফ্রেইট করিডরের মাধ্যমে দেশের অন্যত্র যোগসূত্র তৈরি হবে। বাড়বে আন্তরাজ্য কৃষিজ পণ্যে রফতানি।
মমতা ও অভিষেকের ফ্লেক্স নিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতির মন্তব্য, "মমতা দিদি সকলকে নমস্কার জানাচ্ছে আর রাজ্যের মানুষও আপনাকে নমস্কার জানিয়ে বিদায় দেবে। এবারের ভোটেই বিদায় নেবে মমতা সরকার। আপনারা টা টা করুন।"
জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারের ফোয়ারা মোড় থেকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ রোড শো করবেন নাড্ডা। কিন্তু এখনও জেলা প্রশাসনের তরফে কোনও অনুমতি পাওয়া যায়নি। যদিও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা এই সভার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতির জন্য বারবার তাঁদের অবহিত করিনি। কোনও রাজনৈতিক দিল কোনও বড় কর্মসূচি করার সময় প্রশাসনের কাছে যেভাবে অনুমতি চায় আমরা সেভাবেই চেয়েছিলাম।"
তিনি এও বলেন, "আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করেছি। রাজ্য প্রশাসন জানায় যে জেলা প্রশাসনের কাছে যেতে হবে। আমরা সেটাও করেছি।আশা করছি গতবারের পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি হবে না। আমাদের 'পরিবর্তন যাত্রা' সূচি স্থির রয়েছে। এই যাত্রাটিশান্তিপূর্ণভাবে চলবে। আর কোনও অনুমতির জন্য অপেক্ষা করব না।"
ইতিমধ্যেই মালদার সাহাপুরে 'সহভোজ'-এর জন্য পৌঁছলেন বিজেপি সভাপতি। লোকসভা ভোটের নিরিখে লোকসভা ভোটের নিরিখে সেখানে ৫০,০০০-এর বেশি ভোট এগিয়ে ছিল বিজেপি।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন