Advertisment

বহিরাগতদের দাপট, কাঠ-মানিতে নাজেহাল যাদবপুর

বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মূহুর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় একটি দামি মেহগিনি গাছ উধাও হয়ে যাওয়া। ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির একটি বিভাগের পাশে ওই গাছটি ছিল

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফের বিতর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ আটকাতে এবার তৎপরতা বাড়াল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষ।

Advertisment

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি একাধিকবার ক্যাম্পাস চত্ত্বরে বহিরাগতদের একাংশের সঙ্গে পড়ুয়াদের হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসের নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় মদ্যপান ও নেশা করার ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে বহিরাগতদের। সোমবার এমনই একদল বহিরাগত তরুণ-তরুণীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এবং অন্য আধিকারিকেরা। অতি সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরের একটি বছর কুড়ির পুরনো মেহগিনি গাছ কেটে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসবের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা ভাবছেন কর্তৃপক্ষ।

যাদবপুরের বাংলা বিভাগের শিক্ষক তথা শিক্ষক সংগঠন যাদবপুর ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (জুটা) নেতা রাজ্যেশ্বর সিনহা সোমবারের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কথায়, "অন্তত জনা কুড়ি বহিরাগত ছেলেমেয়ে ঝিলের ধারে বসে নেশা করছিল। রেজিস্ট্রার নিজে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। কয়েকজন পালিয়ে যায়, বাকিরা ক্ষমা চায়। কিন্তু এভাবে প্রত্যেককে হাতেনাতে ধরা কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট সমাধান।"

publive-image এই গাছের গুঁড়ি কাটা নিয়েই বিতর্ক

বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মূহুর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় একটি দামি মেহগিনি গাছ উধাও হয়ে যাওয়া। ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির একটি বিভাগের পাশে ওই গাছটি ছিল। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিরা একদিন সকালে আবিষ্কার করেন গাছটি আর নেই! এরপরই শুরু হয় তৎপরতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকেরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনগুলির পক্ষ থেকেও কর্তৃপক্ষের উপর চাপ তৈরি করা হয়। রাজ্যেশ্বর বলেন, "বেশ পুরনো এবং অত্যন্ত দামি ওই মেহগিনি গাছটি এভাবে উধাও হয়ে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি না দেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।"

আরও পড়ুন, পড়ুয়াদের চাপে কমতে পারে প্রেসিডেন্সির কাউন্সেলিং ফি

কোন পদক্ষেপ করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়? উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে রেজিস্ট্রার ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, এই সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের হাতে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। আগামী কর্মসমিতির বৈঠকেই এনিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

Jadavpur University
Advertisment