মহার্ঘ ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার। ডিএ মামলার রায়ে স্পষ্ট ভাষায় একথা জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে পুনর্বিবেচনার জন্য মামলা ফেরত পাঠিয়ে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট)-এ। সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে স্যাটকে দুমাসের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে হবে। এর আগে স্যাটের রায়ে খুশি হননি রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা। যেহেতু এবার হাইকোর্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে স্যাটকে, সরকারি কর্মীরা কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
বলাই বাহুল্য, রাজ্য সরকারি কর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন ডিএ নিয়ে হাইকর্টের রায়ের জন্য। স্যাটকে রাজ্য সরকার তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের মতামত জানাতে পারবে। মামলাকারীরা এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের কথা বলতে পারবেন ট্রাইবুনালকে। দুমাসের মধ্যে ডিএ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে স্যাটকে। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখরবন্ধু সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের আইনসঙ্গত অধিকার। শুধু তাই নয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হারের অনুপাতে ডিএ নির্ধারন হওয়া উচিত বলে হাইকোর্ট মনে করে।
এর আগে স্যাট রায় দিয়েছিল, মহার্ঘ ভাতা ঠিক করার অধিকার রাজ্য সরকারের। তাতে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাইকোর্টের। এই রায়কে ঐতিহাসিক জয় আখ্যা দিয়েছেন কর্মচারি সংগঠনের নেতৃত্ব। যখন মামলা করা হয়েছিল তখন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ বাকি ছিল ৫০ শতাংশ। এখনও বাকি রয়েছে ৪৭ শতাংশ। একই পদে থাকলেও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বেতন বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
এদিকে দুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতায় ২ শতাংশ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এতদিন মূল বেতনের সাত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হত। এবারের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন ৪৮.৪১ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং ৬২ লক্ষ পেনশনভোগীরা। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ মতো এই বৃদ্ধি বলে জানা গেছে।