জুনেইদ খান গণপ্রহার মামলায় মূল অভিযুক্তের অন্তর্বর্তী জামিন

অতিরিক্ত নগর দায়রা বিচারক নরেন্দ্র শর্মা তাঁর রায়ে বলেছিলেন, যেহেতু তাকে মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার মতো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে, ফলে তাকে জামিন দেওয়া যাবে না। 

অতিরিক্ত নগর দায়রা বিচারক নরেন্দ্র শর্মা তাঁর রায়ে বলেছিলেন, যেহেতু তাকে মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার মতো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে, ফলে তাকে জামিন দেওয়া যাবে না। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ট্রেনের মধ্যেই খুন করা হয়েছিল জুনেইদ খানকে

জুনেইদ খান গণপ্রহার মামলার মূল অভিযুক্তকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়ে দিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মামলায় সমস্ত অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত হয়ে গেল।

Advertisment

গত ২০১৭ সালের ৮ জুলাই থেকে জেল হেফাজতে ছিল নরেশ কুমার। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করার সূত্রেই এই অন্তর্বর্তী জামিন গ্রাহ্য হয়েছে। নরেশ কুমারের আইনজীবীর সওয়াল ছিল, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক বছরের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন, এবং তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া উচিত।

আরও পড়ুন, এলগার পরিষদ: গৌতম নওলাখার মুক্তির নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্র সরকার

গত ৭ জুলাই ফরিদাবাদ সেশনস কোর্ট নরেশ কুমারের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তখন আদালত বলেছিল, নরেশ কুমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা গুরুতর এবং সে জামিনে ছাড়া পেলে ‘‘সাক্ষীদের উপর চার সৃষ্টি করার সমস্ত সম্ভাবনা রয়েছে’’।

Advertisment

অতিরিক্ত নগর দায়রা বিচারক নরেন্দ্র শর্মা তাঁর রায়ে বলেছিলেন, যেহেতু তাকে মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার মতো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে, ফলে তাকে জামিন দেওয়া যাবে না।

রায়ে তিনি এও বলেছিলেন যে, দীর্ঘ দিন হেফাজতে থাকার কারণেই সে জামিন পাওয়ার অধিকারী হতে পারে না।

এ বছরের ১৭ এপ্রিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট যখন অন্য অভিযুক্তদের জামিন দেওয়ার সময়ে বলেছিল, ‘‘প্রাথমিকভাবে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় আসন সংরক্ষণ নিয়ে এবং তখন জাত তুলে গালাগাল দেওয়া হয়, এর বেশি আর কিছুই ঘটেনা।’’

২০১৭ সালের জুন মাসে মথুরাগামী ট্রেনে জুনেইদ, তার ভাই এবং আর তার দুজন তুতো ভাইয়ের উপর হামলা হয়। হামলার সময়ে ছুরির আঘাতে হত্যা করা হয় জুনেইদকে। অভিযোগ, সে সময়ে সাম্প্রদায়িক গালিগালাজও করেছিল আক্রমণকারীরা।

আদালতে নরেশ কুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩৪১, ৩০১ ও খুনের মামলা দায়ের করা হয়।

আদালতে নরেশ কুমারের এটি দ্বিতীয় জামিনের আবেদন। এর আগে প্রথম জামিনের আবেদন করা হয়েছিল এ বছরের এপ্রিলে, যা অভিযুক্তের পক্ষ থেকে পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই মামলায় অন্য অভিযুক্তরা আগেই জামিন পেয়ে গেছে।