হোটেল রয়াল প্লাজা নিয়ে একটি মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলার শুনানি চলাকালীন শুক্রবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি। তিনি খোলাখুলি বলেন, একাধিক মামলার ক্ষেত্রে তাঁকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে। একই উদ্দেশ্য নিয়ে সম্প্রতি বিচারপতি ব্যানার্জির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কে বা কারা তাঁকে ফোন করে মামলার ব্যাপারে প্রভাবিত করতে চেয়েছে, সে বিষয়ে এখনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিচারপতি এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে তা।
বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জির সঙ্গে রয়াল প্লাজা মামলার বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র। "এই ধরণের ঘটনায় বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, বিচারব্যবস্থাকে অবমাননা করা হয়। এ ধরণের ঘটনা ঘটার পর থেকেই বিচারপতি ব্যানার্জি একাধিকবার আমায় জিজ্ঞেস করেছেন মামলার শুনানি থেকে তাঁর সরে আসা উচিত কিনা," জানিয়েছেন বিচারপতি মিশ্র। তিনি আরও বলেন, "যে মুহূর্তে একজন বিচারপতি উচ্চ আদালত থেকে শীর্ষ আদালতে আসেন, এই ধরণের 'আবদার' করা হয়ে থাকে তাঁর কাছে। উচ্চ আদালতে থাকার সময় কেউ একটা কথাও বলার সাহস পায় না।"
বিচারপতি ব্যানার্জির অভিযোগ, "বারের সবচেয়ে প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ সদস্যরাও এই কাজটি করে থাকেন। কোনও মামলার রায় নিয়ে অভিনন্দন জানানো দিয়ে শুরু করেন, তার পরেই সে সব মামলার কথা উল্লেখ করতে থাকেন, যেসবের চূড়ান্ত রায় দেওয়া এখনও বাকি।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োজিত হয়েছেন ইন্দিরা ব্যানার্জি। তাঁর নিয়োগের সাথে সাথেই তৈরি হয় ইতিহাস। এই প্রথম একসাথে তিনজন মহিলা বিচারপতি পায় সুপ্রিম কোর্ট।