চলে গেলেন ভারতের অন্যতম প্রখ্যাত বিচারপতি জি টি নানাবতী। শনিবার সকালে আহমেদাবাদের বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬। গুজরাট হাইকোর্ট আইনজীবীদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে বিচারপতি নানাবতীর নশ্বর দেহ বিকেল ৫.১৫ নাগাদ সৎকার হয় থালতেজ শ্মশানে।
প্রসঙ্গত, ভারতের ইতিহাসে জাস্টিস নানাবতী উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব হয়ে থাকবেন। ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা, তার আগে ১৯৮৪ সালে শিখ দাঙ্গার তদন্ত কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন নানাবতী। গোধরা ট্রেন অগ্নিকাণ্ড এবং দাঙ্গায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। নানাবতী কমিশন সেই সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের ক্লিন চিট দেয়। পুলিশ, বিজেপি, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলকেও ক্লিন চিট দেয় নানাবতী কমিশন।
২০১৯ সালে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা হয়। কমিশন শুনানির সময় মোদীকে একবারও তলব করেনি। জাস্টিস নানাবতী ১৯৫৮ সালে বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। তারপর সরকারি কৌঁসুলি হিসাবে কাজ করতে থাকেন। ১৯৭৯ সালে গুজরাট হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পান তিনি। তার পর ওড়িশা হাইকোর্ট ১৯৯৩ সালে বদলি হয় তাঁর।
আরও পড়ুন মোদীর গঙ্গাস্নান নিয়ে কটাক্ষ, আমেঠির ‘জন জাগরণ যাত্রা’ থেকে চাঁচাছোলা আক্রমণ রাহুলের
১৯৯৪ সালে ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন তিনি। তার পর কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে ওই বছরই দায়িত্ব পান। নানাবতী ১৯৯৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পান। বিচারপতি পদেই ২০০০ সালে তিনি অবসর নেন। দুবছর পর তাঁর নেতৃত্বে গঠিত কমিশন গোধরা কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন