'বিপন্ন গণতন্ত্র' নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের উদ্বেগ প্রকাশ

'একজন বিচারপতির মূল কাজ দুটোই। প্রথমত, দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখা, দ্বিতিয়ত, আইন এবং সমাজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
justice sikri and justice chandrachud

গণতন্ত্রের সংকট নিয়ে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি একে সিক্রি। গুজরাত জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মঞ্চে গণতন্ত্রের পরিবর্তিত চরিত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি।

Advertisment

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিচারপতি বলেন, "আড়াই হাজার বছর আগে গ্রীকদের দেওয়া গণতন্ত্রের ধারণা ধ্বসে যাচ্ছে আজ। গণতন্ত্রের মূল্যবোধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে"।

"আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতিদের একটা মুখ্য ভুমিকা থেকে যায়। ইজরায়েলের শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আহরণ বারাক একবার বলেছিলেন, 'একজন বিচারপতির মূল কাজ দুটোই। প্রথমত, দেশের সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখা, দ্বিতিয়ত, আইন এবং সমাজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা", দেশের যে সমস্ত পড়ুয়া আইন নিয়ে পড়ছেন, তাদের প্রতি বিচারপতি সিকরির পরামর্শ, "এই দুটি ভূমিকা তোমাদের পালন করতেই হবে"।

আরও পড়ুন, চিকিৎসকের ‘জাত-বিচার’ করবে এইমস!

Advertisment

চলতি মাসের শুরুতে সিবিআই -এর প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যে দল, তাতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা ছারাও উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি সিক্রি।

"কেউ তোমাদের বলবে না রোজগার করো না। মানুশ পেশাগত জীবনে প্রবেশ করে রোজগার করার জন্যই। এই পেশার বৈশিষ্ট্য হল, এখানে নীতি এবং মূল্যবোধ বজায় রেখেই প্রচুর রোজগার করা যায়। অন্য কোনো পেশায় অনেকাংশেই আপোষ করতে হয়"।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা শীর্ষ আদালতের আরেক বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, "পেশাগত জীবনে প্রবেশ করলে দেখবে, শিক্ষা এবং অন্যান্য সুযোগ সবার কাছে সমান ভাবে পৌঁছয় না। দেশ জুড়ে বৈষম্য এত বেশি, একেক সময়ে পুরো ব্যবস্থার প্রতি বিরক্তি এসে যাবে। বুনিয়াদি শিক্ষাই সবার কাছে পৌঁছয় না। সমাজের অন্যায়, অবিচার যা তোমার সামনে আসছে, চোখে পড়ছে, পরিবর্তনের চেষ্টা কর"।

Read the full story in English

supreme court