বিলকিস বানোর দায়ের করা গুজরাট গণধর্ষণ মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ১১ সাজাপ্রাপ্তর মুক্তির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিলকিস। সেই মামলা থেকেই সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি। ২০০২ সালের গুজরাট গণধর্ষণ মামলায় ১১ সাজাপ্রাপ্ত সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। বিলকিসের অভিযোগ, গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের অসময়ে মুক্তি সমাজের বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
মঙ্গলবার এই মামলাটি ওঠে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে। সেখানেই বিচারপতি রাস্তোগি জানান যে বিচারপতি ত্রিবেদী এই মামলা শুনতে চাইছেন না। কিন্তু, কেন বিচারপতি ত্রিবেদী এই মামলা শুনতে চাইছেন না, তা খোলসা করেননি বিচারপতি রাস্তোগি। তিনি বিলকিসকে পরামর্শের সুরে বলেন, 'এমন একটি বেঞ্চের সামনে বিষয়টি তালিকাভুক্ত করুন যেখানে আমরা কেউই সদস্য নই।'
গত ১৫ আগস্ট গুজরাট গণধর্ষণ মামলায় ১১ সাজাপ্রাপ্ত মুক্তি পায়। এই মুক্তির বিরুদ্ধে করা আবেদনে বিলকিস জানিয়েছেন, গুজরাট সরকার সুপ্রিম কোর্টের বলা আইনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে স্রেফ একটা যান্ত্রিক নির্দেশ পালন করেছে। তার ফলেই মুক্তি পেয়েছে ওই ১১ সাজাপ্রাপ্ত।
আরও পড়ুন- আগামী বছরের ভোটকে মাথায় রেখে ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিল, কী দাবি বিএনপির?
শীর্ষ আদালত গুজরাট সরকারকে ১৯৯২ সালের ৯ জুলাইয়ে গৃহীত নীতির প্রেক্ষিতে দোষীদের অকাল মুক্তির আবেদনটি দুই মাসের মধ্যে বিবেচনা করতে বলেছিল। ২০০২ সালে এই গণধর্ষণ-কাণ্ডের সময় নির্যাতিতার বয়স ছিল ২১ বছর। সেই সময় তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতীও ছিলেন। হামলাকারীরা তাঁর পরিবারের সাত সদস্য এমনকী তাঁর কন্যাকেও হত্যা করেছিল।
এই মামলায় দীর্ঘদিন জেলেই ছিল সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন। তারা অবশ্য মধ্যে বারবার প্যারোলে ছাড়াও পেয়েছিল। সাজাপ্রাপ্তরা প্রত্যেকেই নির্যাতিতার বাড়ির কাছাকাছি থাকত। এই গণধর্ষণ-কাণ্ডের পর নির্যাতিতা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান। তাঁর অভিযোগ, ধর্ষকদের থেকে ক্ষতি হতে পারে। সেই ভয় তাঁর এখনও যায়নি।