চলতি মাসেই ভারতের নয়াদিল্লিতে বসেছিল জি২০-র সদস্য দেশগুলির সম্মেলন। বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এসেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ভারতের তরফে প্রত্যেক রাষ্ট্রনেতার জন্য দিল্লির বড় বড়় হোটেলগুলিতে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট বুক করা হয়েছিল। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর জন্য কনটপ্লেসের কাছে দ্য ললিত হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্য়ুইট বুক করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে থাকতে রাজিন হননি ট্রুডো। যা নিয়ে গোয়েন্দারা মহা ফাঁপড়ে পড়েছিলেন।
Advertisment
সেই সময় এ খবর প্রকাশ্যে আসেনি। তবে খালিস্তানী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরকে কেন্দ্র করে একের পর এর ঘটনা, দুই দেশের পদক্ষেপের পরই এদিন একটি সূত্রে মারফৎ জানা গিয়েছে যে, দ্য ললিতের হোটেলগুলিতে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইট ট্রুডো শেষপর্যন্ত থাকেননি। ছিলেন ওই হোটেলের একটি সাধারণ ঘরে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এ হেন কারবারের চমকে উঠেছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। বোঝানো হয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলবলকে। কিন্তু লাভ হয়নি।
ট্রুডোর কেন এই আচরণ? সরকারি এক সূত্র জানাচ্ছে যে, 'এই ধরণের সব সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা দলগুলিই নিয়ে থাকে। বেশ কয়েকটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে প্রধানমন্ত্রীর স্যুইট একেবারে উপযুক্ত, তবুও তারা প্রত্যাখ্যান করেছিল। হয়তো এর নেপথ্যে তাদের নিজস্ব কারণ থাকতে পারে।'
জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মোদী সরকার নয়াদিল্লির সব পাঁচ তারা হোটেলগুলি বুক করেছিল। এই সব হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটেই রাষ্ট্রনেতাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছিলেন আইটিসি মৌর্য শেরাটন হোটেলে, চিনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজ প্যালেস হোটেলে। এই সব হোটেল এনএসজি কমান্ডো এবং দিল্লি পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র রাখতে দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন স্বরাষ্ট্র দফতরের আধিকারিকরা। সিআরপিএফ তথা কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর এক হাজার জওয়ানকে বিশেষ ট্রেনিংও দেওয়া হয়েছিল। সেই আয়োজন সফল হয়েছে। সম্মেলনের সময়ে নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়নি।