Justin Trudeau Resigned: সকাল থেকে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। অবশেষে জল্পনাকে সত্যি করে পদত্যাগ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো!
পর পর ২ বারের মেয়াদে তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। সম্প্রতি, বেশ কিছু সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসে তাতে উল্লেখ করা হয় আসন্ন ভোটে কানাডায় কনসারভেটিভদের কাছে হারতে পারেন লিবারালরা। তার জেরেই ট্রুডোর ওপর চাপ বাড়ছিল। প্রবল চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কানাডার দুবারের প্রধানমন্ত্রী।
জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ ঘোষণা করে বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও দলনেতার পদ থেকে পদত্যাগ করছেন এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার (৬ জানুয়ারি, ২০২৫) সেদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং লিবারেল পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কানাডার সংবাদপত্র গ্লোব অ্যান্ড মেইলের খবরে বলা হয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকবেন। দেশের সাংসদদের ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার কারণে ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে হয়। দেশে বেড়ে চলা মুদ্রাস্ফীতির জেরে ট্রুডোর প্রতি সমালোচনার পারদ চড়তে শুরু করে। কিছুদিন আগেই ট্রুডো সরকারের অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করেন তারপর থেকে ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি আরো জোরালো হয়।
নিজের পদত্যাগের বিষয়ে ঘোষণা করে ট্রুডো বলেন, "আমি দলীয় নেতা হিসেবে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করছি এবং দল তার পরবর্তী নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকব। গত রাতে আমি লিবারেল পার্টির সভাপতিকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছি।"
জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনার মুখে রয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে মূল্যস্ফীতি ও দৈনন্দিন খরচে লাগাম টানতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ উঠছিল। এদিকে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথে কানাডার উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। এই ইস্যুতে ট্রুডোওকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় এবং নিজের দলের নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে যখন তার সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পদত্যাগের ঘোষণা করেন।
পদত্যাগ করার সময়, ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছিলেন যে আমেরিকা যদি কানাডার উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে তবে তা দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেবে। জাস্টিন ট্রুডো সম্পর্কে ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছিলেন যে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। এর পরে, তার সংখ্যালঘু সরকারকে সমর্থনকারী দল এনডিপিও জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার হুমকি দেয়।