K Kavitha arrested by ED in Delhi excise case: চার ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর দিল্লি আবগারি মামলায় কে কবিতাকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কে কবিতা, তেলেঙ্গানার বিরোধী দলনেতা তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে। শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, আয়কর বিভাগ একযোগে কে কবিতার হায়দরাবাদের বাসভবনে তল্লাশি চালায়। এরই কয়েক ঘণ্টা পরে গ্রেফতার করা হয় কে কবিতাকে। এর আগে এই মামলায় জেলে আছেন আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিং ও বিজয় নাইয়ার।
কবিতা নিজে নিজামাবাদের এমএলসি। তিনি ও তাঁর স্বামী ডি অনিল কুমারের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লি থেকে আসা ইডি এবং আয়কর দফতরের ১০ আধিকারিক তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান। কবিতাকে হেফাজতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তাঁর ভাই তথা বিআরএসের কার্যকরী সভাপতি কেটি রামা রাও ও তাঁর খুড়তুতো ভাই টি হরিশ রাও কবিতার বাসভবনে পৌঁছন। ট্রানজিট ওয়ারেন্ট দেখানোর দাবিতে তাঁদের সঙ্গে ইডি অফিসারদের তর্কাতর্কি হয়।
এফআইআর অনুযায়ী, ইডি অফিসাররা কবিতার কাছে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁকে তল্লাশির পরোয়ানা দেখিয়েছিলেন। গোটা চত্বরে নিয়ম মেনে তল্লাশি চালানো হয়েছে। অনুসন্ধানকারী দল গোটা প্রাঙ্গনে সম্পত্তির কোনও ক্ষতি না-করেই তল্লাশি চালিয়েছে। দুপুর ১টা ৪৫ নাগাদ তল্লাশি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা ১৫-য় তল্লাশি শেষ হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে কবিতার বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে। বিকেল ৫টা ২০ নাগাদ তহবিল তছরুপ আইনে ২০০২ সালের ১৯ ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, 'সন্ধ্যা ৬টার দিকে, প্রায় ২০ জন ব্যক্তি, যাঁর মধ্যে একজন নিজেকে কবিতার ভাই বলে দাবি করেছেন। এছাড়াও আইনজীবী আর অন্যান্য ব্যক্তিরাও ছিলেন। তাঁরা বেআইনিভাবে ঘটনাস্থলে প্রবেশ করেন। তাঁদের কেউ নিজের পরিচয়পত্র দেখাননি। এর জেরে ঘটনাস্থলে একটি হট্টগোলের পরিবেশ তৈরি হয়। যা গোটা কার্যপ্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেছিল। তল্লাশির সময় কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়নি।'
আইটি এবং ইডি অতীতে কবিতাকে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য তাঁদের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছিল। কিন্তু, সেই নোটিশের বিরুদ্ধে কবিতা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। আর, আইটি এবং ইডির আধিকারিকদের সামনে উপস্থিত হতে অস্বীকার করেছিলেন। ইডি তার চার্জশিটে অভিযোগ করেছে, কবিতা সেই 'দক্ষিণী গ্রুপ'-এর অংশ, যারা বাতিল হওয়া দিল্লি আবগারি নীতিতে অযাচিত সুবিধা নিয়েছেন। বিনিময়ে আম আদমি পার্টির নেতাদের ১০০ কোটি টাকা কিকব্যাক দিয়েছেন। কবিতা অবশ্য ইডির অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে, ইডির নোটিশ আসলে 'মোদীর নোটিশ'।