Kabul Update Today: ৫ বছর আগে তালিবানের হামলা থেকে বাঁচতে বাবা-মাকে নিয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছি। আমরা জানি ওরা (পড়ুন তালিবান) কী করতে পারে। দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে এভাবেই তালিবানি হামলার পুরনো স্মৃতি উসকে দিলেন কাবুলের তরুণী সদফ হাবিব। তালিবানি শাসন থেকে মুক্তি পেতে দলে দলে আফগানরা যখন দেশ ছাড়ছেন, তখন সে দেশে এখনও আটকে সদফের দাদু-দিদা, কাকা এবং বন্ধুরা। তাঁদের পরিণতি কী? আদৌ কোনওভাবে তাঁদের দেশে ফেরানো সম্ভব কিনা? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতেই দিল্লির আফগান দূতাবাসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আতঙ্কিত সদফ এবং তাঁর মা। যদিও সেভাবে সদফের কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি দূতাবাস। এমনটাই সূত্রের খবর।
একই ভাবে পরিবারের খোঁজ নিতে দিল্লির দূতাবাসে ভিড় জমান বছর ২৩-এর যুবক সুখ্রোল্লা করিমি। তাঁর অবস্থা সদফের থেকে কিছুটা ভালো। কারণ তাঁর পরিবারের একটা অংশ ভারত কিংবা অন্য দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। কাবুলে পড়ে থাকলেও নিরাপদে রয়েছেন করিমির কাকা এবং কাকিমা। তাঁদের আর্থিক সাহায্য করতেই দূতাবাসে এসেছিলেন করিমি।
তিনি বলেছেন, সে দেশে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হলেই দেশ ছাড়বেন কাকা-কাকিমা। আমার বেশিরভাগ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা ভারত কিংবা অন্য দেশে আশ্রিত।‘ এদিকে, গোটা আফগানিস্তান তালিবানের দখলে৷ আফগান মুলুক ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে৷ কাবুল বিমানবন্দরে উপচে পড়া ভিড়৷ প্রত্যেকেই বিমানে চেপে কাবুল ছাড়তে চাইছেন৷ হাজার-হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেই বিমানবন্দরে কমপক্ষে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে৷ বিমানবন্দরে গুলি চালিয়েছে মার্কিন সেনা৷ তাঁদের গুলিতেই মৃত্যু পাঁচজনের? নাকি পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু? তা এখনও স্পষ্ট হয়নি৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, বিমান ধরার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল৷ এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, একটি গাড়িতে পাঁচজনের দেহ নিয়ে যেতে তিনি দেখেছেন৷ জানা গিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা আমেরিকান সেনা এদিন বিপুল এই ভিড় সামাল দিতে নাজেহাল হয়৷ ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে শূন্যে গুলি ছোঁড়ে মার্কিন সেনা৷ এপ্রসঙ্গে এক মার্কিন কর্তা জানিয়েছেন, এদিন মার্কিন সেনাবাহিনী একটি সামরিক বিমানে কূটনীতিক ও দূতাবাসের কর্মীদের শহর থেকে বের করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ ঠিক সেই সময় তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়৷ তারপর শূন্যে গুলি ছোঁড়ে সেনা৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন