Advertisment

MUDA Land Scam: জমি দুর্নীতি মামলায় চরম বিপাকে মুখ্যমন্ত্রী, তদন্ত শুরুর নির্দেশ রাজ্যপালের

সিদ্দারামাইয়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে এই অভিযোগগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Siddaramaiah land scam

জমি কেলেঙ্কারি- প্রতীকী ছবি

MUDA Land Scam: বিপাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। জমি দুর্নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট এই ঘটনায় মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। জানা গিয়েছে তিন সমাজকর্মী প্রথম এই জমি দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন। তারপরেই রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়।

Advertisment

রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলট MUDA (মহীশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) মামলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমোদন দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় (সিএমও) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে এই অভিযোগগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বর্ণনা করেছেন।

তথ্য অনুসারে, সমাজকর্মী টিজে আব্রাহাম রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মহীশূর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মুডা) জমি বেআইনি ভাবে বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ দায়ের করার অনুমোদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এক আরটিআই কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যপাল এই অনুমোদন দিয়েছেন। তথ্য অনুযায়ী, আজ বিকেল ৩টায় রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গেহলটের সঙ্গে দেখা করতে পারেন সমাজকর্মী টিজে আব্রাহাম। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনায় কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী ও শ্যালকও জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীকে মহীশূরের একটি অভিজাত এলাকায় একটি জমি দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে তিনি বেঙ্গালুরু থেকে মাইসুরু পর্যন্ত পদযাত্রাও করে বিজেপি।

আরও পড়ুন - < IMA Nationwide Strike: IMA-র ডাকা দেশব্যাপী ধর্মঘট, স্তব্ধ চিকিৎসা পরিষেবা, চরম ভোগান্তিতে রোগীরা >

কর্ণাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচাঁদ গেহলট ২৬ টিজে আব্রাহামের দায়ের করা একটি পিটিশনের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছিলেন। এতে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের জবাব দিতে এবং কেন তাঁর বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি দেওয়া হবে না তা ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পরে, কর্ণাটক সরকার ১ আগস্ট রাজ্যপালকে নোটিশ প্রত্যাহার করতে বলেছিল। কর্ণাটক সরকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক পদের চরম অপব্যবহারের অভিযোগ করেছিল।

শনিবারের এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেসের মুখপাত্র রমেশ বাবু বলেছিলেন যে রাজ্যপালের সম্মতি পক্ষপাতদুষ্ট এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। কংগ্রেস রাজ্যপালের পদক্ষেপকে বাতিল করতে আইনি লড়াই শুরু করবে।"

bjp CONGRESS Siddaramaiah
Advertisment