করোনাভাইাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্ক সর্বত্র। এদেশেও ঢুকে পড়েছে করোনার নয়া স্ট্রেন। এবার কর্নাটকে আরও পাঁচ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। সব মিলিয়ে দক্ষিণের এই রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওমিক্রন আক্রান্ত প্রত্যেকেই স্থিতিশীল রয়েছেন। তাঁদের কারও শারীরিক পরিস্থিতিই উদ্বেগজনক নয়।
বৃহস্পতিবার কর্নাটকে আরও পাঁচ ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ওমিক্রন আক্রান্ত এই পাঁচজন করোনা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছিলেন। কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নিয়েছিলেন আক্রান্তরা। কিন্তু তারপরেও এড়ানো গেল না সংক্রমণ। কর্নাটকে নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ বছরের এক তরুণী, গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি ব্রিটেন থেকে ফেরেন। RT PCR টেস্টে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল।
তবে পরে বিমানবন্দরেই তাঁর স্ক্রিনিং এবং অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষা হয়। তখনই তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই দিনই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তরুণীর আবেদনের ভিত্তিতে ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে বর্তমানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁর কোনও উপসর্গ নেই।
ওমিক্রন আক্রান্ত আরও এক প্রৌঢ় গত ১৩ ডিসেম্বর নাইজেরিয়া থেকে ফিরেছিলেন। তাঁরও RT PCR টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। তবে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করানো হলে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কর্নাটকে নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা গত ৩ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে ফিরেছিলেন। তবে তাঁর কিন্তু রাজধানীতে এক ওমিক্রন আক্রান্তর সংস্পর্শে আসার ইতিহাস রয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন- নিম্নমুখী কোভিড-গ্রাফ, স্বস্তি অ্যাক্টিভ কেসে, তবুও কাটছে না উদ্বেগ
এছাড়াও দিল্লি থেকে কর্নাটকে ফেরা ৩৬ বছরের এক যুবক এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দিল্লি হয়ে কর্নাটকে ফেরা এক যুবকও ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন। কর্নাটকে নতুন করে ওমিক্রন আক্রান্ত পাঁচজনই স্থিতিশীল রয়েছেন। কারও শারীরিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে, ওমিক্রন আবহের মাঝেও দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি স্বস্তি দিচ্ছে। গতকালের চেয়ে এদিন কমেছে সংক্রমিতের সংখ্যা। গত বছরের মার্চের পর এদিনই দেশে সর্বনিম্ন করোনা অ্যাক্টিভ কেস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৪৭ জন। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৯১ জনের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৬৯। বর্তমানে দেশে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৬ লক্ষ ৪১৫।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন