কর্ণাটকে চলতি সপ্তাহে শিথিল করা হতে পারে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের নেতৃত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সভার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ছিলেন কোভিড টাস্কফোর্সের কর্মকর্তারা।
বৈঠকের পরই কর্ণাটক মন্ত্রীসভার এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আর অশোকা এদিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের প্রবণতা তুলনা করেছেন, যেখানে ক্রমেই কমছে সংক্রমণের মাত্রা। তিনি বলেন, কর্ণাটকে জানুয়ারির শেষের সপ্তাহ সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কারণ তখনই সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছাতে পারে বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। তা সত্ত্বেও আমাদের অর্থনৈতিক সকল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। তাই সপ্তাহান্তে কারফিউ এবং নাইট কারফিউ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সরকার শুক্রবার আরেকটি বৈঠক আয়োজন করতে চলেছে সেখানে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে জানিয়েছেন তিনি।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের হাসপাতালগুলিতে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী নিযুক্ত করার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের যারা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি করে নজর দেওয়ার কথা বলেন। আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি শিশুদের চিকিৎসার জন্য আলাদা মেডিক্যাল কিটেরও বন্দোবস্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকার যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্য অক্সিজেন প্ল্যান্ট প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে আইসিএমআর গাইডলাইন মেনে করোনা পরীক্ষা এবং টিকা দানে এখনও যেসকল অঞ্চল পিছিয়ে রয়েছে সেখানে টিকাদানে আরও গতি আনার কথা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সোমবার কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭,১৫৬ মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের সেই সঙ্গে রাজ্যে মোট অমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৬