পরিযায়ী শ্রমিকরা তাদের রাজ্যে ফিরে গেলে নির্মাণ ও উৎপাদন শিল্প ব্যহত হবে। রাজ্যের অর্থনীতির ক্ষতি হতে পারে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাকে এই কথা জানিয়েছিলেন ক্রেডাই সহ নির্মাণ সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এরপরই বাড়ি না ফিরে নিজ নিজ গন্তব্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আবেদনের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই, কর্নাটক সরকার দক্ষিণ-পশ্চিম রেল-কে বিহারগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বাতিলের জন্য চিঠি লেখে।
কর্নাটকের পরিযায়ী শ্রমিক সংক্রান্ত নোডাল অফিসার এন মঞ্জুনাথা রেলকে দেওয়া চিঠিতে জানান, 'বেঙ্গালুরু থেকে বিহারগামী সকাল ৯টা, দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টের শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বাতিল করার অবেদন জানাচ্ছি।' বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে শহরে বহু দূর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকা ভিড় জমালেও এই আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন- কোভিড অর্থনীতি- নিম্ন আয়ের কর্মীদের কাজ হারানোর আশঙ্কা বেশি
এর আগেই কনফেডারেশন অফ রিয়েল এস্টেট জেভালপারস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা বলেন, 'অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কর্নাটক করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রেড জোনের বাইরে শিল্প, নির্মাণ কাজ ও বানিজ্যে ছাড় রয়েছে। কিন্তু, অপ্রয়োজনীয়ভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্য ছাড়ছেন।' পরিযায়ীদের ছাড়া যে নির্মাণ বা উৎপাদন ক্ষেত্রে কাজ ব্যহত হবে তার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। তাতেই কি কর্নাটকের বিজেপি সরকার প্রভাবিত হয়েছে?
আরও পড়ুন- পেট্রল-ডিজেলে রেকর্ড শুল্ক বাড়িয়ে রাজকোষ ঘাটতি পূরণের চেষ্টায় কেন্দ্র
সরকারি সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের শীর্ষ আমলা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ডিজিটালকে বলেন, 'অর্থনীতি সচল রাখতে রাজ্য সরকার চাইছে পরিযায়ীরা একানেই কাজ করুক। ক্রেডাই প্রতিনিধিরা ইয়েদুরাপ্পাকে জানান, গুজবের জেরেই পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের রাজ্যে ফিরতে চাইছে। তবে এই ট্রেন বাতিল করার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও কারণ জানানো হয়নি।'
রেল অবশ্য ঘোষাণা করেছে, কর্নাটক থেকে বিহারগামী শ্রমিত স্পেশাল ট্রেন বাতিলে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। পরিস্কার জানানো হয়েছে, পরিযায়ীরা যে রাজ্যে যাবেন ও যেখান থেকে যাবেন- দুই রাজ্যের আর্জির ভিত্তিতে রেল ওই ট্রেন চালাচ্ছে। জানা গিয়েছে, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে কর্নাটক থেকে প্রায় ৯ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের অন্যান্য রাজ্যে ফেরার কথা।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন