Advertisment

বৈবাহিক হলেও 'ধর্ষণ ধর্ষণই', জানাল কর্নাটক হাইকোর্ট

এর আগে জানুয়ারিতে দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি সি হরিশংকর বলেছিলেন, 'আমি মনে করি বৈবাহিক ধর্ষণ প্রাথমিক ভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ সম্পর্কে কোনও সন্দেহই থাকতে পারে না।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Karnatak_HC

বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে নানা মুনির নানা মতের প্রতিচ্ছবি এবার কর্নাটক হাইকোর্টেও। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় বুধবার স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর আনা বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ বহাল রাখল হাইকোর্ট। এর আগে বিভিন্ন মহল বৈবাহিক ধর্ষণকে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্মতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। কিন্তু, সম্প্রতি বেশ কিছু আদালত বৈবাহিক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেও গণ্য করেছে।

Advertisment

এই পরিস্থিতিতে কার্যত বৈবাহিক ধর্ষণকে ধর্ষণের গোত্রে ফেলার পক্ষেই সায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। এই ব্যাপারে কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'মানুষ মানুষই। তার কাজ কাজই। ধর্ষণ ধর্ষণই। সেটা কোনও মানুষ স্বামী হিসেবে মহিলা বা স্ত্রীর প্রতিও করে থাকতে পারেন।' পাশাপাশি, পর্যবেক্ষণে বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, বিয়ে পুরুষকে নৃশংস পাশবিকতার ছাড়পত্র দিতে পারে না।

এর আগে জানুয়ারিতে দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি সি হরিশংকর বলেছিলেন, 'আমি মনে করি বৈবাহিক ধর্ষণ প্রাথমিক ভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ সম্পর্কে কোনও সন্দেহই থাকতে পারে না। একজন নারীর যৌন স্বাধীনতা, নিজের দেহের ওপর ব্যক্তির সার্বভৌম অধিকার ও না-বলার অধিকারের সঙ্গে কোনও সমঝোতা চলতে পারে না।’

বিচারপতি আরও বলেছিলেন, 'ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ বলে কোনও কিছুর ধারণাই নেই। তাই যেই মুহূর্তে বৈবাহিক ধর্ষণ শব্দবন্ধটি উচ্চারণ করা হচ্ছে, সেই মুহূর্তে আমি একটা ব্যতিক্রমকে তুলে ধরছি, যা আজও চলে আসছে। যেই মুহূর্তে এটিকে ধর্ষণ বলা হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা এখানে প্রযোজ্য হচ্ছে। আর তা যদি হয়, তা হলে বৈবাহিক হোক বা না-ই হোক বা অন্য কিছু হোক, তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

আরও পড়ুন- উঠছে না নিষেধাজ্ঞা, করোনা ফেরার শঙ্কায় এপ্রিলেও বহাল মাস্ক, দূরত্ববিধির নির্দেশিকা

আবার গত আগস্টে কেরল হাইকোর্ট জানিয়েছিল, বৈবাহিক ধর্ষণ বিবাহে বিচ্ছেদ চাওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে। একটি মামলার রায়দান করতে গিয়ে পর্যবেক্ষণে কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি মহম্মদ মুস্তাক ও বিচারপতি এডাপ্পাগাথের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, 'একজন স্ত্রীর সম্মতি উপেক্ষা করে স্বামীর অবৈধ আচরণ বৈবাহিক ধর্ষণ বলেই বিবেচ্য। তথাপি এই ধরনের আচরণের কোনও শাস্তি দেওয়া যায় না। কিন্তু একে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের আওতায় রাখা হয়। শুধুমাত্র আইন এবং দণ্ডবিধি বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের স্বীকৃতি দেয় না-বলে, সেটা কখনও আদালতকে আটকাতে পারে না একে নির্যাতন হিসেবে বিচার করে বিবাহ-বিচ্ছেদ হিসেবে গণ্য করতে।'

Read story in English

Karnataka High Court
Advertisment