মঙ্গলবার কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে একটি নির্মীয়মাণ মেট্রোর পিলার ধসে মৃত্যু হয়ে মা-ছেলের। এই ঘটনায় এবার স্বতঃপ্রণোদিত জনস্বার্থ মামলা রুজু করে কর্ণাটক হাইকোর্ট। এই ঘটনায়, নাগার্জুন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (এনসিসি), এর ডিরেক্টর চৈতন্য, সুপারভাইজার লক্ষ্মীপতি এবং সুপারভাইজার প্রভাকর সহ আটজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেন, 'কোম্পানির অবহেলার কারণেই নির্মীয়মাণ মেট্রোর পিলার ধসে মৃত্যু হয়েছে মা-ছেলের। আমরা অবশ্যই এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, নির্মীয়মাণ সংস্থা এবং সংস্থার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে'।
প্রধান বিচারপতি পিবি ভারালে এবং বিচারপতি অশোক এস কিনাগির ডিভিশন বেঞ্চ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এই আদেশ দেন। আদালত জানিয়েছে ঘটনাটি ব্যাপকভাবে জনসাধারণের জন্য নিরাপত্তাকে ঘিরে উদ্বেগ তৈরি করেছে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে রাজ্য সরকার, ব্যাঙ্গালুরু মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (বিএমআরসিএল), বিবিএমপি, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থাকে এই মামলায় অংশীদার করা হবে। আদালত জানতে চেয়েছে এই ধরনের কাজের জন্য নির্ধারিত ঠিকাদার সংস্থা নিরাপত্তা কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। পাশাপাশি সেই সব নিরাপত্তা যথাযথ ভাবে মানা হয়েছিল কিনা সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
এই দুর্ঘটনায় এক মহিলা ও তার আড়াই বছরের ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় ওই মহিলার স্বামী ও মেয়ে আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে যে সকাল ১১ টা নাগাদ মেট্রোর একটি নির্মীয়মাণ পিলার ধসে পড়ে যায় এবং দুর্ঘটনায় মহিলা ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই মহিলা ও তার সন্তানের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: < ‘ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাইয়ের মত সামনে দাঁড়িয়ে শত্রুদের মোকাবিলা করব’, রেখার কাহিনী চমকে দেবে >
বুধবার কর্ণাটক সরকারকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন মৃতার বাবা এবং অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় বিএমআরসিএল মৃতার পরিবারকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। একই সঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বলেছিলেন যে মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন।