কাজ করতে দিচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষোভে রাজ্যপালকে নালিশ জানালেন মন্ত্রী। বেনজির কাণ্ড কর্ণাটকে। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ভাজুভাই ভালার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন কর্ণাটকের মন্ত্রী। স্বৈরাচারী কায়দায় সরকার চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যদের কাজে নাক গলাচ্ছেন। এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পা।
রাজ্যপালকে পাঁচ পাতার চিঠিতে মন্ত্রীর মূল অভিযোগ, দফতরের মন্ত্রী তিনি অথচ তাঁকে না জানিয়েই দফতরের কোষাগার থেকে ৭৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। মন্ত্রীর দাবি, ১৯৭৭ সালের কর্ণাটক আইনের লঙ্ঘন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আইন-কানুনের পরিপন্থী কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঈশ্বরাপ্পা আরও জানিয়েছেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং দলের শীর্ষ নেতাদের পরামর্শেই রাজ্যের দফতরের টাকা তিনি বরাদ্দ করার ব্যাপারে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দফতরের সচিবকে চাপ দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে।
এমন অনধিকার হস্তক্ষেপ খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী। আর এই ধারা বজায় থাকলে মন্ত্রী হিসাবে আমার কী কাজ আমি জানি না। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এমন কাজ নিয়মভঙ্গ করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আপনাকে জানালাম। আপনার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই চিঠি লিখছি। এইভাবে মন্ত্রিসভার সদস্যকে কাজ করতে না দিয়ে স্বৈরাচারী কায়দায় সরকার চালাচ্ছেন ইয়েদুরাপ্পা।
চিঠিটি রাজ্যপাল ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও পাঠিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে, এই চিঠির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। আর তা না করলে ঈশ্বরাপ্পাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিবকুমার। রাজ্য সরকার এখন দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে।