‘উস্কানিমূলক বক্তব্য’র অভিযোগ, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই এবার FIR দায়ের করল কংগ্রেস। সামনেই কর্ণাটক নির্বাচন। ক্ষমতায় আসার মরিয়া চেষ্টা সব রাজনৈতিক দলেরই। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের প্রতি নির্বাচনের ময়দানে লড়াইয়ে নামতে নানান পন্থা অবলম্বন করছেন। আসন্ন নির্বাচনী প্রচারে ‘উস্কানিমূলক বক্তব্যর অভিযোগ উঠেছে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। কর্ণাটকে অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা, পরমেশ্বর এবং ডি কে শিবকুমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে "উস্কানিমূলক বক্তব্য, ঘৃণা প্রচার এবং বিরোধীদের অপমান" করার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন।
কংগ্রেস নেতারা বলেছেন যে উস্কানিমূলক বিবৃতি দেওয়ার পাশাপাশি, অমিত শাহ মানুষের মধ্যে শত্রুতা এবং ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। শাহের বিরুদ্ধে মানহানিরও অভিযোগ আনা হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা, ডঃ পরমেশ্বরা এবং ডি কে শিবকুমার থানায় পৌঁছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। শাহের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর হাই গ্রাউন্ডস থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, ডাঃ পরমেশ্বর এবং ডি কে শিবকুমার বেঙ্গালুরুর হাই গ্রাউন্ডস থানায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সমাবেশের আয়োজকদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য একটি পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
‘কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে’… শাহের ‘দাঙ্গার’ উদ্ধৃতি উল্লেখ করে কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডি কে শিবকুমার বলেছেন, " পুলিশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একজন সাধারণ মানুষ এটা করলে তাকে গ্রেফতার করা যেত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে পারেন না কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হবে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির তারকা প্রচারক নন।" জাতীয় কংগ্রেস ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে। সেখানে অভিযোগ দায়ের করার পরে, আমরা এখানে এসেছি,”। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছেন, “আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হাই গ্রাউন্ডস থানায় এসেছি। আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি।
একই সময়ে, কংগ্রেসের কর্ণাটকের ইনচার্জ রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, “আমরা অমিত শাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি এবং ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েও তিনি বিভিন্ন শ্রেণী ও ধর্মের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। দুর্নীতিমূলক কাজকর্মকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছেন, শান্তিপূর্ণ রাজ্য কর্ণাটকের শান্তি নষ্ট করছেন। তিনি কংগ্রেসের বদনাম করছেন”।