সার্বিকভাবে গত কয়েকদিন ধরে দেশের দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী। এখনও দেশের যে কয়েকটি রাজ্য নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটক। এখনও কর্নাটকে প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজধানী বেঙ্গালুরুর সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক জায়গায় রয়েছে।
বুধবার কর্নাটকে নতুন করে ২০ হাজার ৫০৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু ৮১ জনের। এই মুহূর্তে রাজ্যে সংক্রমণের হার ১২.৫৫ শতাংশ। রাজধানী বেঙ্গালুরুর সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনও বেশ উদ্বেগজনক। বুধবার বেঙ্গালুরুতেই নতুন করে ৮ হাজার ৮৫০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে কর্নাটকে করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৪৪। শুধু বেঙ্গালুরুতেই বর্তমানে ৯২ হাজারের বেশি করোনা সক্রিয় রোগী রয়েছেন।
তবে মঙ্গলবার রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ১৪ হাজারে নেমে গিয়েছিল। সেদিন ১৪ হাজারের কিছু বেশি মানুষ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারও আগে গত সোমবার অবশ্য রাজ্যের সংক্রমণের ছবিটা উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। ওই দিন ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- মুম্বইতে করোনা গ্রাফে বড়সড় স্বস্তি, একদিনে আক্রান্ত ৮০৩, পজিটিভিটি রেট ১.৫৬%
দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ-গ্রাফ নিম্নমুখী। বড় শহরগুলিতেও সংক্রমিতের সংখ্যা কমছে। দেশজুড়ে জারি থাকা টিকাকরণ কর্মসূচিরই ফল মিলছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক হারে দেশজুড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
তবে এবার গুরুতর অসুস্থ হওয়া বা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা কমেছে। এমনকী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও এবার বেশ কম। যদিও এক্ষেত্রে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ এড়াতে এখনও বেশ কিছুদিন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা জরুরি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
Read story in English