যৌন কেলেঙ্কারির ভাইরাল ভিডিও আপাতত কর্ণাটকের রাজনীতিতে জোর চর্চায়। সেই ভিডিও-র জেরে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন রমেশ জারকিহলি। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' বলে দাবি করেছেন জারকিহলি।
মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে বলে সংবাদ মাধ্যমকে কর্নাটকের প্রাক্তন জলসম্পদ মন্ত্রী রমেশ জারকিহোলি বলেন, 'বিতর্কিত ওই ভিডিও ও সিডি ভুয়ো। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমি নিরাপরাধ।' কথা বলার সময় তাঁর দু'চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছিল। এই সিডি-র সম্বন্ধে চার মাস আগেই তিনি জানতেন বলে দাবি করেন রমেশ। তাঁর কথায়, 'মাস চারেক আগেই আমি এই সিডির বিষয়ে শুনেছিলাম। ভাই-য়ের (বালাচন্দ্র জারকিহলি) সঙ্গে এ নিয়ে কথাও হয়েছিল।'
একই সঙ্গে জারকিহলি বলেন, 'ভিডিওতে যে ব্যাক্তিকে দেখা যাচ্ছে সে আমি নই। দলের হাইকম্যান্ড জানিয়েছে যে, আমাকে খারাপভাবে দেগে দেওয়ার জন্যই এই জঘন্য চক্রান্ত করা হয়েছে। দলই আমাকে আইনি লড়াইয়ের পরামর্শ দিয়েছে। তখনই আমি আইনি লড়াইয়ের পথে গিয়েছি।'
প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, বিতর্কিত ওই ভিডিও তৈরিতে প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বেঙ্গালুরুর যশবন্তপুর ও হালিমাভু-তে এই ভিডিও বানানো হয়। রমেশ জারহোলির কথায়, 'আমি জানতে পেরেছি এই ভিডিও-তে যে মেয়েটিকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদেশে দু'টি ফ্ল্যাটও দেওয়া হয়েছে। পুরো ষড়যন্ত্র হয়েছে যশবন্তপুরে ওরিয়ন মলের কাছে একটি ফ্ল্যাটে। আমার ভাবমূর্তি ও রাজনৈতিক জীবন শেষ করতেই এই ষড়যন্ত্র হয়েছে।'
তাঁকে সহযোগিতা করায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন রমেশ জারকিহলি।
এক তরুণীকে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে যৌনতার প্রস্তাব রাখতে দেখা যায় মন্ত্রীকে ওই ভিডিওতে। মঙ্গলবার সেই ভিডিও ও অডিও ক্লিপ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে যায়। অভিযোগ অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন মন্ত্রী।
এই ঘটনার কোনও সত্যতা বিচার না করেই কীভাবে বিভিন্ন মিডিয়া হাউস ওই বিকর্কিত ফুটেজ চালিয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। ৬৮টি মিডিয়া হাউসের কাছে জবাবদিহি চেয়েছে বেঙ্গালুরুর একটি আদালত। আপাতত সংবাদমাধ্যমে এই ভিডিও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
Read In English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন