Advertisment

কর্তারপুর যেতে পাসপোর্ট লাগবে না, পাক সিদ্ধান্তে হতবাক নয়াদিল্লি

পাকিস্তানের এই ঘোষণায় হতবাক নয়া দিল্লি। কোনও আলোচনা ছাড়া একতরফাভাবে কিভাবে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে? প্রশ্ন বিদেশমন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতীয় তীর্থযাত্রীরা এবার পাসপোর্ট ছাড়াই যেতে পারবেন কর্তাপুর করিডরে। শুক্রবার পাক জাতীয় সংসদে এ কথা জানিয়েছেন পাক অভ্যন্তরীন মন্ত্রী ইজাজ শা। দরবার সাহিব গুরুদ্বারে ভক্তদের আকৃষ্ট করতেই ইসলামাবাদের এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে। তবে, পাকিস্তানের এই ঘোষণায় হতবাক নয়া দিল্লি। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে কোনও আলোচনা ছাড়া একতরফাভাবে কিভাবে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে? প্রশ্ন বিদেশমন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার।

Advertisment

প্রথম সারির পাক ইংরেজি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবর অনুসারে, জাতীয় সংসদে শা জানিয়েছেন, কর্তারপুর করিডর নিয়ে ভারত-পাক মৌ অনুযায়ী কোনও ভারতীয় ভক্তের পাকিস্তানে প্রবেশের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বাধ্যতামূলক। তবে, এই বিষয়টির বদল জরুরি ও তা বিবেচনাধীন। এই ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রকের তরফে আরও বিশদ তথ্য চেয়ে পাঠান হয়েছে।

আরও পড়ুন: কর্তারপুর যেতে পাসপোর্ট লাগবে, জানাল পাক সেনা

পাকিস্তানের এই প্রস্তাব সমন্ধে নয়া দিল্লি কিছু জানে না বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সানডে এক্সপ্রেসকে সরকারি সূত্র থেকে জানতে পেরেছে যে, 'দরবার সাহিব গুরুদ্বারে পৌঁছাতে কর্তারপুর করিডর ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাক প্রশাসন ২০ মার্কিন ডলার করে ধার্য করে। ভারতের পক্ষ থেকে সেই অর্থ মুকুবের কথা বলা হয়েছে। এটাই বড় পদক্ষেপ হতে পারে। যা বাস্তবায়িত হলেই ভক্তদের বেশি করে আকৃষ্ট করা যাবে বলে মনে হয়।' কর্তাপুর করিডর সংক্রান্ত যেকোনও পদক্ষেপ হলেই তা উভয় দেশের চুক্তির ভিত্তিতে তা হতে বহে জানিয়েছে নয়া দিল্লি। দিল্লির সরকারি আধিকারিকা জানান, একতরফা কোনও বিবৃতি বা টুইটের মাধ্যমে নয়। কর্তারপুর নিয়ে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে সহমতে ভিত্তিতে সব সিদ্ধান্ত নেবে উভয় রাষ্ট্র। এই বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি রয়েছে। যার প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব পর্যায়ের এক অফিসার।

গত নভেম্বরেই পাক সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, কর্তারপুর করিডর গেলে পাসপোর্ট লাগবে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের। গুরুদ্বার দরবার সাহিব দর্শনে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে হবে বলে তারও আগে জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর বহু প্রতীক্ষীত কর্তারপুর করের সূচনা হয়। এই করিডরের মাধ্যমেই পাকিস্তানের নারোয়াল প্রদেশে অবস্থিত দরবার সাহিব গুরুদ্বারে যাওয়া যায়। বিশ্বাস যে, গুরু নানক তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর এই স্থানেই অতিবাহিত করেছিলেন।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

pakistan India
Advertisment