ভারতের পক্ষ থেকে পাক অভিযানে ইতি টানার ইঙ্গিত দেওয়া হলেও দু'দেশের মধ্যে এখনও বহাল রয়েছে উত্তেজনার আবহ। এই অবস্থাতেই পাকিস্তান জানাল আগামী সপ্তাহে কর্তারপুর করিডোর নিয়ে আলচনায় বসবে দুই দেশ। কর্তারপুর চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা করতে ভারতে আসছে পাক প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার ভারতের কার্যনির্বাহী হাই কমিশনার গৌরব আলুওয়ালিয়াকে জানিয়েছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফৈজল।
জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সারা দুনিয়ার চাপ আসার পর মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠনের ৪৪ জনকে আটক করল পাকিস্তান। এর মধ্যে জৈশ এ মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারের দুই আত্মীয় রয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে জৈশ প্রধানের দুই ভাই মুফতি আব্দুর রউফ এবং হাম্মাদ আজহার। পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ মন্ত্রক এ কথা জানিয়েছে।
ইসলামাবাদের তরফে জানানো হয়েছে, '১৪ মার্চ নয়াদিল্লি যাবে পাক প্রতিনিধি দল। চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা করতে ভারতীয় দল ইসলামাবাদে যাবে ২৮ তারিখ।' একই সঙ্গে মহম্মদ ফৈজল এও জানিয়েছেন যে, ভারতে নিযুক্ত পাক হাই কমিশনার সোহেল মেহমুদকে ফের নয়াদিল্লি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর তাঁকে ইসলামাবাদ ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যাকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তাপ বাড়ার প্রমাণ হিসেবেই দেখেছিলেন অনেকে। পাকিস্তান জানিয়েছে, মেহমুদের সঙ্গে পাক সরকারের আলোচনা শেষ হয়েছে। ফলে, ফিরে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি, কর্তারপুর সাহিব করিডর উদ্বোধন করেছে ইমরান সরকার।
আরও পড়ুন, পাক আক্রমণ অব্যাহত, কড়া জবাব ভারতের
২৬/১১-এর মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের জামাত-উদ-দাওয়া, ফালা-ই-ইনসানিয়াত কে আনুষ্ঠানিক ভাবে নিষেধাজ্ঞা তালিকাভুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয় মঙ্গলবার।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "আমাদের কিছু আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কর্তারপুর নিয়ে পুলওয়ামা পর্বের আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
পাক আভ্যন্তরীণ সচিব আজম সুলেমন মঙ্গলবার বলেছেন, "কোনও সংস্থার সম্পত্তি যদি বাজেয়াপ্ত করার হয়, আমরা করব। ১৯৯৭ এর সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী এটি বৈধ। তদন্তের প্রয়োজনে সরকার যেকোনো সংস্থাকে নিজের হেফাজতে নিতে পারে"।
সূত্র মারফত খবর দিল্লির বক্তব্য, "পাকিস্তান শুধু বলে যাবে, ওরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, আর আমরা শুনে যাব, তা হবে না। পাকিস্তান জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিক, এটাই আমাদের দাবি"।
Read the full story in English