মারা গেলেন ডিএমকে সভাপতি এম করুণানিধি। সোমবার থেকেই সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এম করুণানিধি। বেশ কিছুদিন ধরেই ক্রমাগত স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছিল তাঁর৷ কাবেরী হাসপাতালের ভিতর প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে সন্ধেতেই চেন্নাই রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আত্মীয়রাও একে একে পৌঁছেছেন তাঁর বাড়িতে। কাবেরী হাসপাতাল থেকে দুপুরে শেষ প্রকাশিত বুলেটিনে জানানো হয়েছিল সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও ডিএমকে সুপ্রিমোর শারীরিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে, তাঁর শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে পড়েছে৷
কাবেরী হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিন
কালাইনারের করুণানিধির জন্য শোকে মর্মাহত তাঁর ভক্তকুলও। ভীড় জমেছে হাসপাতাল চত্তরে, জনস্রোত সামলাতে কাবেরী হাসপাতাল চত্বর ও সংলগ্ন এলাকায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন মায়লাপোরের ডেপুটি কমিশনার এন কে মাইলবাহানন। নাগেশ্বর রাও পার্ক থেকে কাবেরী হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা লাজ চার্চ রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অসুস্থ হয়ে গত ২৮ জুলাই কাবেরী হাসপাতালে ভরতি হন ৯৪ বছরের এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু থেকে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি হাসপাতালে অসুস্থ করুণানিধিকে দেখতে গিয়েছেন প্রত্য়েকেই৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন
মাত্র ১৪ বছর বয়সে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এম করুণানিধি। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরে দাক্ষিণাত্যের রাজনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে রয়েছেন তিনি৷ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমজি রামচন্দ্রণের দল এআইএডিএমকে’র কাছে ১৯৯১-এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ৯৬-তে আবারও কাজে ফিরে আসেন তিনি৷ ২০০১-তে একইভাবে তাঁর দলকে পরাজিত করেন এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা৷ কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় আবারও ফেরেন ২০০৬-সালে৷ ২০১৬-র তামিলনাড়ু নির্বাচনে লড়ে জয় লাভ করেন।