মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কাশীর বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। প্রায় তিন দশক আগে করা এই অভিযোগ সঠিক কি না, তা খতিয়ে দেখতেই পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণকে নির্দেশ দিল বারাণসীর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। এর জন্য দু'জন মুসলমান সদস্য সহ পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করতে বলেছেন বিচারক আশুতোষ তিওয়ারি। এই সমীক্ষার খরচ বহন করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
জ্ঞানবাপী মসজিদ যে জমিতে গড়ে উঠেছে, সেটি আসলে হিন্দুদের। সুতরাং সেই জমি হিন্দুদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক এই দাবি জানিয়ে ‘স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর'-র তরফে আইনজীবী বিজয়শঙ্কর রস্তোগীআদালতের দ্বারস্থ হন। ওই আইনজীবীর আর্জি, ১৬৬৪ সালে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ২ হাজার বছরের পুরনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করে সেখানে গড়ে তোলেন মসজিদ। জ্ঞানবাপীমসজিদ কমিটি এই আবেদনের পাল্টা আর্জি জানায়।
অষ্টাদশ শতকে হিন্দুদের আবেগকে মান্যতা দিয়ে মসজিদের কাছেই আজকের বিশ্বনাথ মন্দিরটি তৈরি করেন মারাঠা রাজ্য মালওয়ার রানি অহল্যাবাই হোলকর।
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় মন্দির-মসজিদগুলি যেটি যেখানে ছিল, তার অবস্থান বদল বা চরিত্র বদল করা যাবে না বলে ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থলে আইনে বলা হয়েছে। তবে সেই আইন খারিজ করার জন্য ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও অশ্বিনী উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রেখেছেন। এই আইনের প্রেক্ষিতে কাশীর বিশ্বনাথের মন্দির ও জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন