করোনা পরিস্থিতি বিচার করে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়ল কার্ফুর মেয়াদ। রবিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ১৭ মে সকাল ৭টা পর্যন্ত রাজ্যের ২০টি জেলায় চলবে কার্ফু। পাশাপাশি, উত্তরে কাশ্মীরের সঙ্গে দক্ষিণে কর্নাটকও সংক্রমণে কাবু। তাই আগামি ১০ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ চালু করছে কর্নাটক সরকার। এযাবৎকাল যারা কোউইন পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছে তাঁরাই পাবেন প্রাধান্য। এটাই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সুত্রের খবর, মহারাষ্ট্র, হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ আর তামিলনাড়ু; এই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তাঁর আবেদন, ‘রাজ্যগুলোকে টিকাকরণের জন্য পৃথক অনলাইন মাধ্যম তৈরির অনুমতি দেওয়া হোক। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ছাপ ফেলা টিকা আমদানি করতে রাজ্যগুলোর হাতে ছাড়পত্র দিক কেন্দ্র।‘
এদিকে, আরও এক সপ্তাহের জন্য দিল্লিতে লকডাউনের সময়সীমা বাড়াল কেজরিওয়াল সরকার। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত রাজধানীতে লাগু থাকবে লকডাউন। এই পর্বে বন্ধ রাখা থাকছে মেট্রো রেল পরিষেবা। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই ঘোষণা করেছেন। করোনার বাড়বাড়ন্তে উপায় না দেখেই এই পদক্ষেপ বলে জানিছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে, ‘গত কয়েকদিনে আমি ব্যবসায়ী, মহিলা, যুবক-যুবতী সহ সমাজের ভিন্নস্তরের নানান মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। সংক্রমণ সামান্য কমলেও এখনও লকডাউন প্রত্য়াহারের পরিস্থিতি হয়নি বলে সবাই সহমত। সবাই মনে করছি যে, এখন লকডাউন শিথিল করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। বিধিনিষেধ এবার কিছুটা কড়া হবে। মেট্রো চলাচল করবে না।’
এতদিন অফিসের ব্যস্ত সময়ে সর্বোচ্চ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ ও ৩০ মিনিট অন্তর করে মেট্রো চলাচল করছিল। বাকি সময়ে ১ ঘন্টা অন্তর চলছিল মেট্রো। ট্রেনের মধ্যে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে যাতায়াতে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বেসামাল দিল্লি। অক্সিজেনের অভাব, শয্যার অপ্রতুলতায় ভয়াবহ অবস্থা হয় রাজধানীতে। ফলে গত ১৯ এপ্রিল দিল্লিতে লকডাউন জারি হয়েছিল। এরপর প্রতি রবিবারই সেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণে না এলে এই পরিস্থিতি থাকবে বলেই রাজ্য সরকার জানিয়েছে। তবে, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও জরুরিভিত্তির যান চলাচলে ছাড় রয়েছে।