ভারত ও পাকিস্তানকে কাশ্মীর ইস্যুতে সাহায্য করার ফের প্রস্তাব দেবার বেশ কদিন পর, বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রক এ ব্যাপারে তৃতীয় পক্ষের জড়িত হবার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে দুমুখো নীতি নেবার জন্য পাকিস্তানকে ব্যাপক সমালোচনাও করা হয়েছে।
Advertisment
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, "আমাদের অবস্থান কাশ্মীর নিয়ে স্পষ্ট, ও ধারাবাহিক বাবে আমরা বলে আসছি এটি ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা। আমি ফের একবার বলতে চাই যে এ ব্যাপারে তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।"
কাশ্মীর নিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরির ব্যাপারে ইসলামাবাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে রবীশ কুমার বলেন, "এবার পাকিস্তানের দায় সন্ত্রাসমুক্ত ও হিংসামুক্ত পরিবেশ তৈরির। শিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, যে কোনও দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এই চুক্তির বিধি মোতাবেক হতে হবে।"
ওয়ার্লড ইকনমিক ফোরাম চলাকালীন দাভোসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি ইমরান খানকে মধ্যস্থতা করার ব্যাপারে প্রস্তাব দেন।
এই নিয়ে চারবার ট্রাম্প এই প্রস্তাব দিলেন। প্রতিবারই ভারত তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইমরান খানকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, "আমরা কাশ্মীর নিয়ে কথা বলছি এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে য়া চলছে, তাতে যদি আমরা সাহায্য করতে পারি- তাহলে নিশ্চিতভাবেই সাহায্য করব। আমরা গোটা ব্যাপারটি খুব ভালো করে নজরে রেখেছি।"
ইমরান খান বারবারই কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কথা বলেছেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ রয়েছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসে লেখা রয়েছে, এবং ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলাও রয়েছে।
ভারত শুরু থেকেই বলে আসছে কাশ্মীর একটি দ্বিপাক্ষিক বিষয়, এ ব্যাপারে কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই। ভারত গত বছরের ৫ অগাস্ট জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেবার পর থেকে পাকিস্তান চেষ্টা করছে কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক রূপ দেবার। ভারতের দাবি ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়।