Kashmiri leader Engineer Rashid to take oath as MP: ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) সোমবার কারাবন্দি কাশ্মীরি নেতা শেখ আবদুল রশিদকে ৫ জুলাই মেম্বার অফ পার্লামেন্ট (এমপি) বা সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। শেখ আবদুল রশিদ, তাঁর অনুগামীদের কাছে ইঞ্জিনিয়ার রশিদ নামেও পরিচিত।
অতিরিক্ত দায়রা বিচারক চন্দরজিৎ সিং মঙ্গলবারই ২০১৭ সালে জঙ্গি কার্যকলাপের সাহায্যে অর্থ ব্যয় করার মামলায় দিল্লির তিহার জেলে বন্দি রশিদকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে রশিদ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ২ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। এর আগে তিনি হান্দওয়ারার ল্যাংগেট নির্বাচনী এলাকা থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার সদস্য (এমএলএ) ছিলেন। রশিদ, জম্মু ও কাশ্মীর আওয়ামি ইত্তেহাদ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং পৃষ্ঠপোষক। রশিদের জন্ম ১৯৬৭ সালে, তাঁর নিজের শহর ল্যাংগেটে। তিনি কিশোর বয়সে কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭৮ সালে তিনি আবদুল গনি লোনের নেতৃত্বাধীন পিপলস কনফারেন্সে যোগ দেন।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এনআইএর আইনজীবী রশিদের শপথ নেওয়ার জন্য ছুটি চেয়ে আবেদনের বিরোধিতা করেননি। তবে বলেছেন যে মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলার মত কিছু বিধিনিষেধ রশিদের ওপর জারি হওয়া উচিত। একইসঙ্গে এনআইএর আইনজীবী বলেছেন, 'এমপিকে (রশিদ) শপথ গ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রম একদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।'
দিল্লির এক আদালত এর আগে রশিদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদনের শুনানি ১ জুলাই (মঙ্গলবার) পর্যন্ত স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। একইসঙ্গে, কেন রশিদকে জামিন দেওয়া হবে না, সেই ব্যাপারে জবাব ঠিক করতে এনআইএকে সময় দিয়েছিল। রশিদ, ২০১৯ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। এনআইএ তাঁকে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে অভিযুক্ত করার পর থেকেই কাশ্মীরের এই জনপ্রিয় নেতা জেলবন্দি। সম্প্রতি, সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য রশিদ দিল্লির পাতিয়ালা হাউস আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন- Criminal Laws: নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে ব্যাপক তুলকালাম, কতটা রদবদল হয়েছে নতুন বিধিতে?
রশিদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেছেন আইনজীবী বিখ্যাত ওবেরয়। তিনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে তিনি এমপি রশিদের হয়ে তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য সংসদীয় কার্যকলাপ পালনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বা হেফাজত প্যারোল চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।