'কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমা দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এবার তা প্রভাব ফেলল দেশের রাজধানী দিল্লিতেও। আগে থেকে বুকিং করলেও কাশ্মীরের এক বাসিন্দাকে ঘর দিল না দিল্লির হোটেল। ফিরিয়ে দেওয়া হল হোটেলের রিসেপশন কাউন্টার থেকে। কাশ্মীরের ওই বাসিন্দা তাঁর যাবতীয় পরিচয়পত্র ওই হোটেলকর্মীকে দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও ওই বাসিন্দাকে হোটেল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
কাশ্মীরের ওই বাসিন্দা হোটেলকর্মীর কাছ থেকে এই ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ওই হোটেলকর্মী প্রথমে কোনও কারণই জানাতে পারেননি। এরপর বারেবারে প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই হোটেলকর্মী ফোনে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, সেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষও পরিষ্কার জানিয়ে দেন, কাশ্মীরের ওই ব্যক্তিকে হোটেলে জায়গা দেওয়া যাবে না। কারণ, হিসেবে হোটেলের ওই মহিলা রিসেপশনিস্ট তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের থেকে পাওয়া নির্দেশমতো পুলিশের কথা জানান। তিনি কাশ্মীরের পর্যটককে জানান, পুলিশের নির্দেশেই তাঁকে হোটেলে জায়গা দিতে পারছেন না। গোটা ঘটনাটি মোবাইলবন্দি করে রেখেছেন কাশ্মীরের ওই যুবক। তিনি মোবাইলবন্দি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। মুহূর্তে সেই ভিডিও ভাইরালও হয়।
দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার থাকলেও দিল্লি পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। মোদ্দা কথায়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অধীনস্ত। এই ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সংবাদমাধ্যম যোগাযোগ করলে, হোটেলগুলোকে দেওয়া এমন কোনও নির্দেশের কথা দিল্লি পুলিশ অস্বীকার করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেকথা জানিয়েও দেয় দিল্লি পুলিশ।
পাশাপাশি দিল্লি পুলিশের দাবি, কিছু নেটিজেন ভিডিওটি ছড়িয়ে দিল্লি পুলিশের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা করছে। ওই নেটিজেনদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর জম্মু-কাশ্মীর স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় মুখপাত্র নাসির খুয়েহামি ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তিনি কাশ্মীরের ওই যুবকের হেনস্তার প্রতিবাদে সরব হন। প্রশ্ন তোলেন কাশ্মীরি হওয়া কি অপরাধ? সেই শেয়ার হওয়া ভিডিও দেখে একটি হোটেল অ্যাসোসিয়েশন তাদের অ্যাসোসিয়েশনের তালিকা থেকে দিল্লির ওই হোটেলকে বাদ দিয়েছে।
Read story in English