জঙ্গি হামলায় ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। কাশ্মীরে একদিনে তিন তিনটে হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। প্রথমে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের উপর হামলা। পরে আরও দুটি ঘটনায় এক সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হলেন এবং দুই পরিযায়ী শ্রমিক-সহ তিনজন জখম হলেন। উপত্যকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধেয় দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে বাল কৃষাণ নামে এক পণ্ডিতের উপর হামলা হয়। চোটিগাম গ্রামে ওই পণ্ডিতের শরীরে পর পর তিনটে বুলেট বিঁধে যায়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত অক্টোবরের পর ফের কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিতের উপর হামলা হল। এর আগের ঘটনায় শ্রীনগরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এম এল বিন্দ্রুকে সন্ত্রাসী গুলি করে খুন করে। সেই হামলার পর উপত্যকায় পণ্ডিতদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
গত দুদিনে দ্বিতীয়বার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলা হল কাশ্মীরে। সবকটাই পুলওয়ামা জেলায়। সোমবারের ঘটনায় লাজুরা গ্রামে পটলাশ্বর কুমার এবং জাক্কু চৌধুরি নামে বিহারের দুই বাসিন্দার উপর হামলা হয়। তাঁদের পায়ে গুলি করা হয়। দুজনই হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন নাটকীয় পটপরিবর্তন, পাকিস্তানের তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী গুলজার আহমেদ
গত মাসে মহম্মদ আক্রম নামে উত্তরপ্রদেশের এক ছুতোর মিস্ত্রির উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার দুদিন পর বিহারের এক শ্রমিক বিশ্বজিৎ কুমারকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। গত রবিবার পঞ্জাবের পাঠানকোটের বাসিন্দা এক বাসচালক এবং কনডাক্টরকে গুলিতে জখম করে জঙ্গিরা। সোমবার আরও দুজন পরিযায়ী শ্রমিক হামলার শিকার হলেন। এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকের অনুমান, জঙ্গিরা পরিযায়ী শ্রমিকেদের প্রাণে না মেরে হাতে-পায়ে গুলি করে তাঁদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাতে তাঁরা উপত্যকা ছেড়ে চলে যায়। কাশ্মীরে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে সন্ত্রাসীরা।
এদিকে, সোমবার তৃতীয় জঙ্গি হামলায় শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থল মাইসুমা অঞ্চলে প্রকাশ্যে এক সিআরপিএণ জওয়ানকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পালায় জঙ্গিরা। বিশাল কুমার নামে ওই জওয়ান পরে হাসপাতালে মারা যান। ঘটনার পর এলাকা ঘিরে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।