কাশ্মীরের পুলিৎজার জয়ী চিত্রসাংবাদিককে বিমানে উঠতে দেওয়া হল না। সানা ইরশাদ মাট্টু নামে ওই চিত্রসাংবাদিকের প্যারিসে যাওয়ার কথা ছিল। দিল্লি বিমানবন্দরে কারণ না-দেখিয়েই তাঁকে আটকে দেন অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা। তাঁকে বলা হয়, বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না। একটি বই প্রকাশ ও চিত্র প্রদর্শনীতে যোগ দিতে মাট্টু প্যারিসে যাচ্ছিলেন।
Advertisment
গোটা ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে ওই চিত্রসাংবাদিক টুইট করেছেন, 'একটি বইপ্রকাশ ও ছবির প্রদর্শনীতে যোগ দিতে আমার আজকে দিল্লি থেকে প্যারিসে যাওয়ার কথা ছিল। ফ্রান্সের ভিসা দেওয়ার পরিবর্তে দিল্লির অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা বিমানবন্দরে আমাকে আটকে দেন। আমাকে কোনও কারণ জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে আমি বিদেশে যেতে পারব না।' সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বাতিল হওয়া বোর্ডিং পাশের ছবিও প্রকাশ করেছেন ওই চিত্র সাংবাদিক। সূত্রের খবর, উপত্যকার বিভিন্ন সাংবাদিকদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। সেই তালিকায় মাট্টুও আছেন।
এর আগে ২০১৯ সালে কাশ্মীরের সাংবাদিক গওহর গিলানি জার্মানি যাওয়ার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা আটকে দেন। গত বছর জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন সাংবাদিক তথা শিক্ষাবিদ জাহিদ রফিককে আমেরিকায় যেতে বাধা দেয়। সেখানে তাঁর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর কথা ছিল। সাংবাদিক রুয়া শাহ ও আহমের খানকেও বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হয়। দক্ষিণ কাশ্মীরের আরও একজন শিক্ষাবিদকেও বিদেশে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। যদিও কয়েক মাস পরে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়।
সাংবাদিক মাট্টু কাশ্মীরের শ্রীনগরের বাসিন্দা। বছর ২৮-এর ওই সাংবাদিক আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সের হয়ে কাজ করেন। ফিচার ফোটোগ্রাফিতে তাঁকে ২০২২ সালের পুলিৎজার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই পুরস্কার পেয়েছেন রয়টার্সের আরও তিন চিত্রসাংবাদিক। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কভারেজ করার জন্যই তাঁদের ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এমন এক সাংবাদিকের বিদেশযাত্রা আটকে দেওয়ায় স্বভাবতই বিভিন্ন মহলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।