কাশ্মীরি এক ড্রাই ফ্রুট বিক্রেতাকে লখনউয়ের ডালিগঞ্জ এলাকার ব্যস্ত রাস্তায় মারধর করল চার গেরুয়াপরিহিত দক্ষিণপন্থী। এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মারপিটের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই ভাইরাল ভিডিওয় বিশ্ব হিন্দু দলের সদস্য বজরং সোনকার এবং অমর মিশ্রকে দেখা যাচ্ছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা মারধর আটকাতে গেলে নিগ্রহকারীরা তাঁকে বলে যে ওই ফলবিক্রেতা কাশ্মীরি এবং কাশ্মীরে এরা সেনাবাহিনীর দিকে পাথর ছোড়ে।
এলাকার এসএসপি কলানিধি নৈথানি জানিয়েছেন, ”লখনউয়ে এক কাশ্মীরিকে মারার দৃশ্য ভাইরাল হয়ে যায়। নিগৃহীতকে বাঁচান এলাকাবাসীরা। বজরং সোনকার নামের দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোনকারের অপরাধের ইতিহাস রয়েছে, তার বিরুদ্ধে একটি খুন সহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে।”
আরও পড়ুন, গোপন নথির সূত্র কিছুতেই প্রকাশ নয়: অনড় এন রাম
পরে এ ঘটনার জেরে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্ত হল হিমাংশু আওয়াস্থি এবং অনিরুদ্ধ কুমার।
এসএসপি কলানিধি নৈথানি জানিয়েছেন অভিযুক্তরা ২০১৮ সাল থেকে বিশ্ব হিন্দু দল নামের একটি ট্রাস্ট চালানো শুরু করে। এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব হিন্দু দলের সভাপতি অম্বুজা নিগম জানিয়েছেন তাঁরা সকলে বিজেপি সমর্থক।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় হামলার পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার শিকার হচ্ছেন। উত্তরাখণ্ডে ছাত্রদের কলেজ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। দেরাদুনের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা কোনও কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করবে না।
লখনউয়ের ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিডিপি-র মেহবুবা মুফতিও।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরিদের উপর আক্রমণের নিন্দা করে বলেছেন, আমাদের লড়াই কাশ্মীরের জন্য়, কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে নয়। সুপ্রিম কোর্ট কাশ্মীরিদের উপর হামলার ঘটনায় সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিব ও পুলিশ কর্তাদের দ্রুত নির্দেশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
Read the Full Story in English