কাঠুয়া মামলার প্রধান সাক্ষীকে পুলিশ হেফাজতে অত্যাচার নিয়ে আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

আবেদনকারী এম এ খান শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর আত্মীয় হুসেনকে অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাতে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করেছে। 

আবেদনকারী এম এ খান শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর আত্মীয় হুসেনকে অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাতে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করেছে। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
supreme court, সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

কাঠুয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষীকে পুলিশ হেফাজতে মারধর করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করা হয়েছিল তা খারিজ হয়ে গেল। আবেদনকারীর অভিযোগ ছিল, অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তাঁকে হেফাজতে অত্যাচার করে।

Advertisment

বিচারপতি এ এম খানউইলকর এবং দীপক গুপ্তার বেঞ্চ এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। কাঠুয়া মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী তালিব হুসেনের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ওই আবেদন করেছিলেন। নির্দেশ সত্ত্বেও অভিযোগকারী আদালতের সামনে হাজির না হওয়ায় আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।

জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় সংখ্যালঘু এক আট বছরের শিশুকন্যাকে অপহরণ করে গণধর্ষণের পর খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

আবেদনকারী এম এ খান শীর্ষ আদালতে অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁর আত্মীয় হুসেনকে অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাতে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করেছে।

Advertisment

এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইনজীবী শোয়েব আলম। গত মাসেই তিনি আদালতে জানিয়েছিলেন, হুসেন যেহেতু জামিনে রয়েছেন সে কারণে তাঁর এ অভিযোগ যথাযথ নয়।
গত ২২ অক্টোবর আদালত আবেদনকারীকে ১৩ নভেম্বরের আগে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। হাজিরা না দেওয়ার জন্য ১৩ নভেম্বর আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদলাত।

আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন, হুসেনকে বেআইনি ভাবে পুলিশ আটক করে রেখে তাঁর ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।

এর আগে শীর্ষ আদালত কাঠুয়া গণধর্ষণ মামলায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে পাঞ্জাবের পাঠানকোটে স্থানান্তরিত করেছে।

কাঠুয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে রাজ্যপুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে মূল চার্জশিট দাখিল করেছে এবং পৃথক একটি চার্জশিট দাখিল করেছে এক নাবালকের বিরুদ্ধে।

Kathua supreme court