কাঠুয়া ধর্ষণ ও হত্যামামলা পাঠানকোট আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত এ ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি নাকচ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিলম্ব এড়াতে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে প্রতিদিন এই মামলার শুনানি হবে। একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট মামলাপ্রক্রিয়া গোপনে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর সরকারকে এ মামলায় সরকারি আইনজীবী নিয়োগ করার অনুমতিও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সরকারকে একই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মৃতার পরিবার ও তাদের আইনজীবীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব রণবীর পেনাল কোড মেনেই এ মামলা চলতে পারে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী দুপক্ষই যাতে সুবিচার পায় তাও নিশ্চিত করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চণ্ডীগড় আদালতে স্থানান্তরের আবেদন করেছিলেন কাঠুয়ার ধর্ষিতা ও মৃতা মেয়ের বাবা। জম্মু-কাশ্মীর সরকার মামলার বদলির বিরোধিতা করেছিল। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল।সিবিআই তদন্তের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছিল বার কাউন্সিলও।
এ ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্ত শীর্ষ আদালতে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়েছিল। চণ্ডীগড় আদালতে মামলা স্থানান্তরের আবেদনেরও বিরুদ্ধাচরণ করেছিল তারা।
পাঠানকোটে মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, নিরাপত্তাই এ ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয়। তাঁদের দিক থেকে নিরাপত্তা দিতে কোনও অসুবিধে হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্তে আস্থা জ্ঞাপন করেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘এ মামলায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ যথেষ্ট সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেছে, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ বিজ্ঞানসম্মতভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা বুঝেছি এ মামলায় সিবিআই তদন্তের যে দরকার নেই।’’