কাঠুয়া হত্যা ও গণধর্ষণ মামলার রায় বেরোতে পারে ১০ জুন। এ মামলা পাঠানকোটে শুরু হয়েছিল, পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঞ্জাব আদালতে স্থানান্তরিত হয়। শেষ পর্যায়ের সওয়াল জবাব আর কয়েকটি শুনানির পরেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা।
দায়রা আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়ে গেছে ২৭ মে।
গত বছর ৩০ মে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল। এর পর থেকে বিচারপ্রক্রিয়া চলতে থাকে প্রতিদিন। বাদী পক্ষের সওয়াল শেষ হয়ে গিয়েছে, বিবাদী পক্ষের সওয়াল চলবে ৬ জুন পর্যন্ত।
এই মামলায় অভিযুক্ত মোট ৮ জন। এরা হল, প্রাক্তন রেভিনিউ আধিকারিক সনজি রাম, বিশেষ পুলিশ আধিকারিক দীপক খাজুরিয়া এবং সুরিন্দর কুমার, পরবেশ কুমার, সনজি রামের ছেলে বিশাল জনগোত্র এবং একজন নাবালক- যার বিচার হচ্ছে আলাদা ভাবে। দুজন তদন্তকারী অফিসার- হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবং সাব ইন্স্পেক্টর আনন্দ দত্ত এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করার দায়ে অভিযুক্ত।
এ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে রয়েছে ধর্ষণের চেষ্টা ও আরেকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে গোটা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অভিযোগ।
বিবাদী পক্ষের তরফে ৩৫৩ জন সাক্ষীর তালিকা দেওয়া হয়েছিল, এ ছাড়া দেওয়া হয়েছিল চালান এবং অতিরিক্ত চার্জশিট। তবে সরকারি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে বিচারপ্রক্রিয়ায় ১১৪ সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়েছে।
মোট চারজন সাক্ষী বিচারপ্রক্রিয়ার বয়ানবদল করেছেন। বাদী পক্ষের তরফেও আদালতের সামনে ১৪ জন সাক্ষীকে হাজির করা হয়েছে। গোপন এই বিচারপ্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন জেলা ও দায়রা বিচারক ডক্টর তেজবিন্দর সিং।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে এই নাবালিকা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা সারা দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। জম্মুর কয়েকটি গোষ্ঠী অভিযুক্তদের সমর্থনে এগিয়েও এসেছিল।