সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেজন্য প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে ইতিমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে। কিন্তু, তাঁর লক্ষ্য যে তেলেঙ্গানা নয়, বরং দিল্লি। কিশোরের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সংবাদের রেশ কাটতে না-কাটতেই তা স্পষ্ট করে দিলেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (টিআরএস)-এর শীর্ষনেতা তথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কালভাকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও।
তেলেঙ্গানা থেকে জাতীয় রাজনীতি, সর্বত্র যিনি কেসিআর নামেই বেশি পরিচিত। বুধবার, রাজ্য রাজনীতি থেকে কার্যত জাতীয় মঞ্চে তুলে ধরে কেসিআর বলেন, 'ভারতের এখন নতুন জোট নয়। দরকার, বিকল্প আলোচ্যবিষয়।' দলের ২১তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে কেসিআর নিজের উচ্চাভিলাষ স্পষ্ট করে দেন। তাঁর মাথায় যে ২০২৪ ঘুরছে, বুঝিয়ে দেন সোজা কথায়। টিআরএস প্রধান বলেন, 'হায়দ্রাবাদ যদি দেশের গুণগত পরিবর্তনের জন্য এজেন্ডা নির্ধারণ করে দেয়, তবে সেটা তেলেঙ্গানার জন্য গর্বের মুহূর্ত হবে।'
আঞ্চলিকতাবাদকে ঘিরে যে রাজনীতি তিনি করেন, জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সেই আঞ্চলিকতাবাদকে মিশিয়ে ভোট মাইলেজ তিনি কতটা পেতে পারেন, সেটা এখন সময় বলবে। কিন্তু, আগামী দিনে এই লক্ষ্য নিয়েই যে তাঁর পথচলা বুধবার তা স্পষ্ট করে দেন কেসিআর। বলেন, 'এক নতুন রাজনৈতিক শক্তি'র উত্থানের কথা। তবে, তাঁর এই জাতীয় রাজনীতির উচ্চাভিলাষ নতুন না। অতীতে কেসিআরকে দেখা গিয়েছে, একটি নন-এনডিএ ফ্রন্ট গঠনের ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে।
আরও পড়ুন- ১২ বছর অবধি বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, কিন্তু তারপর?
তবে, তিনি এনিয়ে বামেদের উদ্যোগে শামিল হতে চাননি। বরং, মানুষের জীবনের মানকে আরও উন্নত করার লক্ষ্য পূরণের ডাক দিয়ে জোটহীন বিকল্প রাজনীতির রাস্তা খুলে দিয়েছিলেন। এবার সেই রাস্তা ধরেই যেন অনেকটা এগিয়ে এসেছেন। যা প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে তাঁকে আরও এগিয়ে দেবে। আর, সেই লক্ষ্যপূরণের ঠিকানা দিল্লির মসনদ। বুধবার, এমনই ইঙ্গিত যেন দিতে চাইলেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির শীর্ষ নেতা। দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য, এটা কেসিআরের কতটা চাল, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন থেকেই গেল। কারণ, তাঁর নতুন মেন্টর প্রশান্ত কিশোর অবশ্য আগেই গণমাধ্যমে বলেছেন, আপাতত মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে হারানো বিরোধীদের কাছে কার্যত অসম্ভব।
Read story in English