Advertisment

ক্যাম্পাসকে 'নজরবন্দি' করতে চোখ রাখা হবে হোয়াটসঅ্যাপেও, জানাল মোদী সরকার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এবার 'নজরবন্দি' করতে এবং 'দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখতে' এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও নজরদারি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) থেকে জামিয়া মিলিয়া, মোদী সরকারের সিএএ-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। ছাত্র-যুবদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে থমকে গিয়েছে দিল্লির রাজপথ। জেএনইউ হামলায় হোয়াটসঅ্যাপ দিয়েই শুরু হয়েছিল বিদ্রোহ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এবার 'নজরবন্দি' করতে এবং 'দেশে সম্প্রীতি বজায় রাখতে' এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও নজরদারি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ডিজিপি) এবং ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (আইজিপি)-এর বৈঠকে এমনটাই উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে।

Advertisment

আরও পড়ুন: ‘চিন চাইলেই সাহায্যের হাত বাড়াবে ভারত’, জিনপিং-কে চিঠি মোদীর

পুলিশের আধিকারিকেরা যারা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং নির্দেশাবলি পর্যালোচনা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যেই একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "সম্মেলনে মূলত সম্ভাব্য সংবেদনশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকার কথা বলা হয়েছে। এর জন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে।" এই বৈঠকেই ঠিক হয় যে আগামী এক বছর কোথায় কী কী সমাবেশ হতে চলেছে তাঁর সমস্ত তথ্য আগেই একটি তালিকা তৈরি করতে। ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ দেশের সমস্ত পুলিশবাহিনীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিটি রাজ্য এবং এজেন্সি দ্বারা সংগৃহীত সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করা হবে এবং তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণকে জমা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ‘শাহিনবাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরোধ নয়’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অপর এক কর্মকর্তা বলেন, "হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনেও নজর রাখছে পুলিশ। আমরা প্রতিটি স্তরে নিশ্চিত করছি যে রাজনৈতিক দল তা ডানপন্থী হোক কিংবা বামপন্থী চিন্তাধারার, মুসলিম, দলিত, শ্রমিক ইউনিয়ন, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সংগঠনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে যে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলবে তাও নজরে রাখা হবে।" নির্দেশাবলিতে এও বলা হয়েছে যে, জনসাধারণের 'মন বুঝতে' নজর রাখা হবে টুইটারেও। টুইট এবং রিটুইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে কোনওরকম ঘৃণার সঞ্চার করা হচ্ছে কি না, নজর রাখা হবে সেইদিকেও। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, "নীতি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য ভাল পরামর্শ দেওয়া এবং সম্মেলনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত কর্মসূচি থেকে একটি দৃঢ় পরিকল্পনার উপর জোর দিয়েছিলেন।"

Read the full story in English

PM Narendra Modi
Advertisment