/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/12/sourav-sana-759.jpg)
মেয়ে সানার সঙ্গে সৌরভ। ছবি- সৌরভ গাঙ্গুলির ইনস্টাগ্রাম পেজ
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সৌরভ-কন্যা সানা গাঙ্গুলির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ঘিরে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। অগত্যা পরিস্থিতি সামলাতে এবার মাঠে নামতেই হল ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি এবং ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে। সানার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের কয়েক ঘন্টা পরই 'রাজনৈতিক বিতর্ক' থেকে মেয়ে সানাকে দূরে রাখার আবেদন জানান সৌরভ।
আরও পড়ুন: ‘আধার-ভোটার কার্ড নহি চলেগা! বিজেপি কা মাদুলি চলেগা?’, শাহকে প্রশ্ন মমতার
সদ্য আঠারো পেরোনো সানার 'রাজনৈতিক পোস্ট'-এর যেভাবে ঝড় তুলেছে সোশাল মিডিয়ায় তা সামলাতেই সোশাল ময়দানে নেমে টুইট করে সৌরভ লেখেন, ‘এই সব বিষয় থেকে সানাকে দয়া করে দূরে রাখুন। এই পোস্টটা সত্যি নয়। রাজনীতির কিছু সম্পর্কে জানার ব্যাপারে ও খুবই ছোট।’
Please keep Sana out of all this issues .. this post is not true .. she is too young a girl to know about anything in politics
— Sourav Ganguly (@SGanguly99) December 18, 2019
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে যখন উত্তাল দেশ সেই সময় বিখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক খুশওয়ান্ত সিংয়ের বই ‘দ্য এন্ড অফ ইন্ডিয়া‘-র নির্বাচিত কিছু অংশ তুলে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দেন সানা। যা সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এমনকী এই পোস্টে নেটিজেনদেরও মন জয় করে নিয়েছে সানার পরিণতি বোধ। কিন্তু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলছে সেই আবহেই সৌরভ-কন্যার এমন ‘পোস্ট’ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্কও।
আরও পড়ুন: চাপে চুপ? এনআরসি প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ বিজেপি-মোদী সরকারের
ঠিক কী লিখেছিলেন সানা?
BCCI President @SGanguly99's daughter Sana Ganguly just won my heart by this post. Incredible maturity from an 18 year old. pic.twitter.com/wQN5eyfY6G
— Aparna (@chhuti_is) December 17, 2019
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি ২০০৩ সালে প্রকাশিত খুশবন্ত সিংহের ‘দ্য এন্ড অব ইন্ডিয়া’ থেকে তুলে ধরেছেন যে অংশ, সেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রতিটি ফ্যাসিস্ট সরকারের একটা দল বা গোষ্ঠীর প্রয়োজন হয়। নিজেদের বেড়ে ওঠার জন্য তারা ওই দল বা গোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করতে তাদের শয়তানেও পরিণত করে। দু’একটা দল দিয়ে এটা শুরু হয়। কিন্তু সেটা কখনওই সেখানে শেষ হয় না। ঘৃণার উপর নির্ভর করে যে আন্দোলন, সেই আন্দোলন নিজেকে ধরে রাখতে পারে অবিরাম একটা ভয় বা দ্বন্দ্বের বাতাবরণ তৈরি করে।’’
Read the full story in English