Punjab Poll 2022: পঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় এলে প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের ১০০০ টাকা হাত খরচা দেবে। সোমবার এই ঘোষণা করেন আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘মহিলা ভাতা প্রদানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। যদি আম আদমি পার্টি পঞ্জাবে ক্ষমতায় আসে তবে রূপায়ন করবে। রাজ্যের যে কোনও মহিলার ১৮ বছর হলেই পরিবারপিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হাজার ঢুকবে। বার্ধক্য ভাতা যারা পান, সেই ভাতার সঙ্গে এই হাজার টাকা যুক্ত হয়ে ভাতা ঢুকবে প্রবীণদের ব্যাঙ্কে।‘
দুই দিনের পঞ্জাব সফরে এসে সামাজিক এই প্রকল্প ঘোষণার সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চান্নিকে খোঁচা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘আজকাল পঞ্জাবে নকল কেজরিওয়াল ঘুরছেন। আমি যা ঘোষণা করি, পরের দিন সেই কেজরিওয়াল তা অনুসরণ করেন। কিন্তু কার্যকর করেন না। তাই নকল কেজরিওয়াল থেকে সাবধান। শুধু আসল কেজরিওয়াল প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন।‘
এদিকে, দোরগোড়ায় পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। এরসঙ্গেই দেশজুড়ে প্রবল প্রতিবাদের জেরে শেষমেশ পিছু হঠল কেন্দ্রীয় সরকার। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিল মোদী সরকার। আজ গুরু নানকের জন্মদিনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের ফের জমিতে ফিরে চাষের কাজে মনোনিবেশের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর।
দেশজুড়ে সাঁড়াশি প্রতিবাদের জেরে শেষমেশ পিছু হঠল কেন্দ্র। নতুন তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ চলে রাজধানীতে। রাজ্যে-রাজ্যে বিক্ষোভে সোচ্চার হন কৃষকরা। নতুন তিনটি কৃষি আইনের মাধ্যমে কৃষকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে কৃষকদের সংগঠনগুলি। ২০২০-র সেপ্টেম্বরে তিনটি বিল পাশের পর থেকে রাস্তায় নেমে প্রবল বিক্ষোভে সোচ্চার হন লক্ষ-লক্ষ কৃষক। হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে কৃষকরা এসে ভিড় জমান রাজধানী দিল্লির সীমানায়। মাসের পর মাস ধরে দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা গিয়ে জড়ো হন। কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক দলের নেতারাও বিক্ষোভে পাশে ছিলেন শুরু থেকেই।
নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি ওঠে সর্বত্র। এমনকী আইন বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। শীর্ষ আদালত অবশ্য ওই তিনটি কৃষি আইন কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। আজ গুরু নানকের জন্মদিনে বড় ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদী। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এদিন তিনি বলেন, ‘এই আইন আনার পিছনে আমাদের সত্ উদ্দেশ্য ছিল। শুরু থেকেই কৃষকদের বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। তিনটি আইনকে স্বাগতও জানিয়েছিল একাধিক কৃষক সংগঠন। তবে দু’বছর ধরে সেই আইনের প্রয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এবার তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন