Advertisment

ED Cases Against Opposition Leaders: মোদী আমলে ইডি র‍্যাডারে ৯৫ শতাংশ বিরোধী নেতা, মামলার সংখ্যা বেড়েছে ৪ গুণ

রিপোর্ট অনুসারে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১২১ জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ED-এর তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১১৫ জন বিরোধী দলের নেতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Kejriwal

মদ নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। (পিটিআই)

আবগারি দুর্নীতি মামলায় গতকাল রাতেই গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুক্রবারই আদালতে পেশ করা হবে আপ সুপ্রিমোকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন উত্তর দিল্লির সিভিল লাইনে পৌঁছয় ইডি-র গোয়েন্দা দল। দিল্লি হাইকোর্ট এদিন আবগারি দুর্নীতি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীকে সুরক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী থাকছেন। জেল থেকেই তিনি সরকার চালাবে বলেই জানিয়েছে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি (আপ)। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেননি কেজরিওয়াল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন রাহুল গান্ধী।

Advertisment

কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির পরই বিজপি সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা। প্রশ্ন উঠেছে গ্রেফতারির সময় নিয়েও। ২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিরোধী দলের নেতাদের উপর ইডির অভিযান বেড়েছে ইউপিএ আমলের তুলনায় চারগুণ। রিপোর্ট অনুসারে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ১২১ জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ED-এর তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১১৫ জন বিরোধী দলের নেতা ছিলেন যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পাশাপাশি, বাসভবনে অভিযান চালানো হয়েছে অথবা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বা গ্রেফতার করা হয়েছে।

২০০৪-২০১৪ ইউপিএ-এর আমলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্ত চালায় ২৬ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ১৪ জন ছিলেন বিরোধী নেতা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস রিপোর্টটি প্রকাশ করার পর থেকে একের পর এক বিরোধী নেতারা বারেবারে ইডি রাডারের আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে রয়েছে তৎকালীন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া (মার্চ ২০২৩), জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন (জানুয়ারি ২০২৪), যিনি গ্রেফতারের ঠিক আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) নেত্রী কে কবিতা (এই মাসের শুরুর দিকে), তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-এর কন্যা যিনিও দিল্লির মদ নীতির মামলায় ইডির র‍্যাডারে ছিলেন।

বিরোধীরা সংসদে এই ইস্যুটি একাধিকবার উত্থাপন করেছে। তারা অভিযোগ করেছে ইচ্ছাকৃতভাবে এজেন্সি কে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের টার্গেট করছে মোদী সরকার। তবে এই অভিযোগ বারে বারে সরকার এবং ইডি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ED- নজরে ছিলেন কংগ্রেসের ২৪ জন। টিএমসির ১৯ জন। এনসিপির ১১ জন, শিবসেনার ৮, ডিএমকের ৬, বিজেডির ৬, আরজেডির ৫, বিএসপির ৫, এসপি-র ৫, টিডিপির ৫, আপের ৩, আইএনএলডির ৩, YSRCP-এর ৩, সিপিএমের ২, NC-এর ২, PDP-এর ২, AIADMK-এর ১, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার ১ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি।

ইডি কি শুধু বিরোধীদের টার্গেট করছে? কেজরিওয়াল ছাড়াও ২০১৪ থেকে এখন পর্যন্ত কোন নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ৯৫ শতাংশ বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ২১ মার্চ (বৃহস্পতিবার) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করে। দিল্লির মদ কেলেঙ্কারি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে ইউপিএ সরকারের তুলনায় এনডিএ সরকারে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ইডির দায়ের করা মামলা বেড়েছে চার গুণ।

কেজরিওয়ালের আগেই সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছিল ইডি

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আগে, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে। পাশাপাশি জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন এই বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার হওয়ার ঠিক আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) নেত্রী কে. কবিতাও মদ কেলেঙ্কারি মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।

বিরোধী নেতাদের টার্গেট করার অভিযোগে কী বলল ইডি?

বিরোধী নেতাদের টার্গেট করার অভিযোগে, এক শীর্ষ ইডি আধিকারিক বলেছেন, যে ইডি নিজে থেকে মামলা দায়ের করতে পারে না। রাজ্য পুলিশ বা কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা কোনও রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরেই ইডি আর্থিক তছরুপ-এর মামলা দায়ের করতে পারে। তিনি বলেন, আমরা অনেক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও তদন্ত করছি।

ইডি কোন নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল?

ইডির র‍্যাডারের রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ১৯-এর বেশি টিএমসি নেতা। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, রবার্ট বঢরা, পি চিদাম্বরম, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ভাই অগ্রসেন গেহলট, কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার এবং হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বসুন্ধরা রাজের ছেলে দুষ্যন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে ইডি।

আরও পড়ুন: < Arvind Kejriwal Arrested: কী এই আফগারি দুর্নীতি? কীভাবে এই মামলায় নাম জড়াল কেজরিওয়ালের? >

modi Enforcement Directorate Kejriwal
Advertisment