কেরলের কনভেনশন সেন্টারে বিস্ফোরণ-কাণ্ডে আত্মসমর্পণ করলেন ডোমিনিক মার্টিন নামে জনৈক ব্যক্তি। তিনি ত্রিশুরের কোডাকারা থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। কোচির কালামাসেরির কনভেনশন হলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দায় ওই ব্যক্তি স্বীকার করেছে। এই বিস্ফোরণে অন্তত একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যিহোবার সাক্ষী সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার সদস্য একটি প্রার্থনা সভার জন্য জড় হয়েছিলেন। পুলিশ, অভিযুক্ত মার্টিনের দাবি যাচাই করে দেখছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে এটি একটি আইইডি বিস্ফোরণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, কনভেনশন সেন্টারের মধ্যে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটেছে, প্রার্থনা শুরু হওয়ার পর সকাল ৯টা ৩০ নাগাদ। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে এটি ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক এবং পুলিশ গোটা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজয়ন বলেন, 'রাজ্যে পুলিশের ডিজি-সহ ঊর্ধ্বতন কর্তারা সবাই কোচিতে চলে গেছেন। আহতদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।'
কেরল পুলিশের এডিজিপি অজিত কুমার জানিয়েছেন, ডমিনিক মার্টিন নামে এক ব্যক্তি ত্রিশুরের কোডাকারা থানায় গিয়ে বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে। ওই ব্যক্তি কালামাসেরির যিহোবার সাক্ষী সংগঠনের সদস্য। সে সত্যি বলছে কি না, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ত্রিশুরের জনপ্রতিনিধি তথা কেরলের সহযোগিতা মন্ত্রী ভিএন ভাসাভান বলেছেন, আহতদের বেশিরভাগই এরনাকুলাম এবং পার্শ্ববর্তী কোট্টায়াম এবং ত্রিশুর জেলার বাসিন্দা। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, কনভেনশন সেন্টার বিস্ফোরণে আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২। তার মধ্যে ১৮ জন আইসিইউতে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ বছর বয়সি এক শিশু-সহ ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন- কেরলে ধর্মস্থানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিশানায় যিহোবার সাক্ষীরা, এঁরা কারা?
কেরল কনভেনশন সেন্টারে এই বিস্ফোরণের পর রাজধানী দিল্লিতে গির্জা এবং মেট্রো স্টেশনগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না-করার শর্তে এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছন, শহরের প্রধান বাজার, গির্জা, মেট্রো স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন ও অন্যান্য জনবহুল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'সুরক্ষা দলগুলোকে উত্তরপ্রদেশের দিক এবং হরিয়ানার দিক থেকে সীমান্ত এলাকাজুড়ে ব্যারিকেড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ, রাইডার এবং পিসিআর বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে প্রাপ্ত কোনও তথ্য উপেক্ষা না-করেন। আমরা ইতিমধ্যেই ভিড়ে উপচে পড়া বাজারগুলোয় কড়া নজর রাখছি। উৎসবের মরশুমের কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।' সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের বিশেষ বাহিনী কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।