মহিলার পোশাক যৌন উস্কানিমূলক। তাই যৌন নিগ্রহের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। এক লেখক তথা সমাজকর্মীকে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে বিতর্কে কেরলের আদালত। যৌন নিগ্রহ মামলায় নির্যাতিতাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিচারক। কোঝিকোড়ের ওই নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ, ৩৫৪ এ ধারায় যৌন নিগ্রহের মামলা কোনওভাবেই হয় না, কারণ মহিলা যৌন উস্কানিমূলক পোশাক পরেছিলেন।
সিভিক চন্দ্রণ নামে ওই সমাজকর্মী আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সেই সঙ্গে অভিযোদকারিণীর কিছু ছবি জমা দেন। ১২ অগস্ট তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এর আগে ২ অগস্ট তিনি যৌন নিগ্রহ মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। মহিলার ছবি নিয়ে আদালতের মন্তব্য, এটা প্রমাণিত যে অভিযোগকারী মহিলার পোশাক যৌন উস্কানিমূলক ছিল। তাই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৫৪এ ধারায় প্রাথমিক ভাবে পদক্ষেপ করা যাবে না।
আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় বর্ণিত অনুযায়ী, কোনও মহিলার সম্মান নষ্টের পিছনে অভিযুক্তের কোনও কারণ নিশ্চয়ই থাকবে। ধারা অনুযায়ী, আগে কোনও শরীরী স্পর্শ, বা যৌন আবেদনমূলক কোনও পদক্ষেপ থাকতে হবে। যৌনতার হাতছানিও থাকতে পারে, এমন আবেদনও করা হতে পারে। কোনও ভাবে যৌন উত্তেজক মন্তব্য থাকতে হবে।
আরও পড়ুন ‘আমরা রাজনীতির বলি’, কাদের দিকে আঙুল তুলছে গুজরাত দাঙ্গায় সাজা শেষে মুক্ত বন্দিরা?
চন্দ্রণের পাল্টা দাবি, ওই মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। এই এপ্রিলে একটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, অভিযোগকারিণী তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে এসেছিলেন। আরও অনেকে সেখানে ছিল। কিন্তু কেউ-ই চন্দ্রণের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি।