/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/kochi-airport-flight-759.jpg)
কোচিতে বিমান পরিষেবা চালু হল। ছবি: বিষ্ণু বর্মা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এ যুগের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বানভাসি কেরালা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। গত কয়েকদিন ধরেই বন্যা বিধ্বস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার তোড়জোড় শুরু হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। ত্রাণ শিবির থেকে ঘরে ফিরছেন দুর্গতরা। বিভিন্ন রাস্তায় ধ্বস সরিয়ে মেরামতির কাজ চলছে জোরকদমে। বন্যা বিপর্যয়ে ভাঙাচোরা বিদ্যুতের খুঁটি সারিয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক করারও কাজ চলছে। রাজ্যে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর তোড়জোড় চলছে, তখন কোচিতে এবার বিমান পরিষেবাও শুরু করা হল। প্রায় দু’সপ্তাহ পর কোচি বিমানবন্দরে এদিন যাত্রীবাহী বিমান নামল। টানা বৃষ্টি ও বন্যার জেরে গত ১৪ অগাস্ট থেকে বন্ধ ছিল কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
আরও পড়ুন,মালয়ালিদের একমাসের বেতন চেয়ে আর্জি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ খোলে কোচি বিমানবন্দর। বন্যা বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলে রাজ্যের ওই বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বিমান প্রথম নামল। আহমেদাবাদ থেকে ইন্ডিগোর বিমান ৬৬৭ এদিন কোচি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এদিন ৩৩টি বিমান কোচি বিমানবন্দরে নামার কথা। অন্যদিকে, আজ ৩০টি বিমান কোচি বিমানবন্দর থেকে উড়বে বলে জানা গিয়েছে। অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক, দু’ধরনের উড়ানই এদিন কোচি বিমানবন্দর থেকে ওঠানামা করবে বলে জানা গিয়েছে।
Cochin International Airport in Kochi (COK), which was closed due to the floods, has commenced its operations. CM Pinarayi Vijayan congratulated the officials and employees of CIAL on making the airport functional in a short time. #KeralaFloods
— CMO Kerala (@CMOKerala) August 29, 2018
Indigo flight to Kochi from Pune also lands at the CIAL airport, second flight to arrive at the flood-affected airport since Aug 15, operations completely on track now, say CIAL officials @IndianExpresspic.twitter.com/HnOknOG2yF
— Vishnu Varma (@VishKVarma) August 29, 2018
বন্যার জেরে বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে, পার্কিং বে, এবং অ্যাপ্রন জলের তলায় ছিল। বন্যায় বিমানবন্দরের প্রায় ২২০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ২৬ অগাস্টই কোচিতে বিমান পরিষেবা শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন বিমানসংস্থার কর্মী সংখ্যা সেদিন কম থাকায় শুরু করা যায়নি পরিষেবা।