যত দিন গড়াচ্ছে, কেরালায় বন্যা পরিস্থিতি ততই উদ্বেগজনক হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দক্ষিণের ওই রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২। বন্যার জেরে বহু মানুষ ঘরছাড়া। ত্রাণশিবিরেও উপচে পড়া ভিড় দুর্দশাগ্রস্তদের। বন্যা দুর্গতদের পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সাহায্যের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন বিজয়ন।
কেরালার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ধ্বস নেমেছে। নিজস্ব ছবি।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে দেখে উদ্ধারকাজের জন্য আরও সেনা ও হেলিকপ্টার চেয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রথমবার রাজ্যের ৩৯টি জলাধারের মধ্যে ৩৫টি জলাধার খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বন্যা দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল। জেলায় জেলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
কেরালায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন, Kerala floods: How to contribute to CM’s Distress Relief Fund
অন্যদিকে রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জেরে শনিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে কোচি বিমানবন্দর। বানভাসি হওয়ায় বিপর্যস্ত রেল পরিষেবাও। বহু রাস্তা জলের তলায় থাকায় বিভিন্ন জায়গায় থমকে গিয়েছে যান চলাচল, বেশ কিছু জায়গায় রাস্তায় ধস নেমেছে। কোচিতে মেট্রো পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। সে রাজ্যের ১৪টি জেলায় ইতিমধ্যেই রেল অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কসারাগোড় ছাড়া রাজ্যের সব জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে।
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, কেরালার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। এরনাকুলাম জেলায় জলস্তর আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি, কোট্টায়াম, আলাপ্পুজা, চেনগান্নুর, কুট্টানাডু এলাকায় জল বাড়ছে। রাজ্যে সেনা, বায়ুসেনা, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী মিলে ৫২ স্কোয়াড রয়েছে।
আরও দেখুন, বন্যাকবলিত কেরালায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
কেরালার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কেরালায় বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করার আর্জি জানিয়েছেন রাহুল।